পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
থ্রিজি এবং ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হলেও ধীর গতির ইন্টারনেট টুজি সেবা এখনও চালু আছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও স্বাভাবিক রয়েছে।
ধীর গতির নেট ব্যবহার করতে চাইলে মোবাইল ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে (সেটিং>কানেকশন>মোবাইল নেটওয়ার্ক>২জি অনলি) টুজি করে দিলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে গত ১৩ ডিসেম্বর এক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাবনা দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয়সভায় এই পরামর্শ দেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সব রিটার্নিং অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ভোটের দিন বিকেল ৪টার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।