ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অংশ নেবে না বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রহসনের মধ্যে দিয়ে হয়েছে। এরই মাঝে প্রমাণ হয়ে গেছে এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের অধীনে নির্বাচনে মানেই প্রহসন। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা কোনো উপনির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে অংশ নেব না। এটা আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত।

গতকাল মাগরিবের নামাজের পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির নেতারা। এরপর দলের আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবার বৈঠকে বসেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক।

বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়াও বৈঠকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দল পুনর্গঠনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে বৈঠকে অংশ নেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে গত সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, গত রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here