‘আইএস বধু’ শামিমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন। তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বৃটিশ নাগরিক ও পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেয়া শামিমার নাগরিকত্বের বিষয়ে এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে বৃটেন ও বাংলাদেশে মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার দেশের নাগরিক শামিমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আলোচনায় ঘুরছে শামিমার পিতামাতা যেহেতু বাংলাদেশি, তাই শামিমাও বাংলাদেশী। এ জন্য তিনি বাংলাদেশে নাগরিকত্ব চাইতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ তার কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
এ কথা জানিয়েছে লন্ডনের প্রভাবশালী অনলাইন গার্ডিয়ান।
ওদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে, শামিমা বেগমকে ভুলভাবে বাংলাদেশ ও বৃটেনের যৌথ নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সরকার দৃঢ়ভাবে বলতে চায়, শামিমা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। তিনি জন্মসূত্রে বৃটেনের নাগরিক। বাংলাদেশের যৌথ নাগরিকত্বের জন্য তিনি কখনোই আবেদন করেন নি। অভিভাবকের দিক থেকে যোগসূত্র থাকলেও শামীমা কখনোই বাংলাদেশে আসেন নি। তাই তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনলাইন গার্ডিয়ানকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের বৃটিশ সিদ্ধান্তের কথা তিনি জেনেছেন মিডিয়ারা রিপোর্ট থেকে।
গার্ডিয়ান লিখেছে, বাংলাদেশের এমন কড়া বিবৃতি বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের জন্য সরাসরি একটি চ্যালেঞ্জ। সাজিদ বুধবার তার দেশের এমপিদের বলেছেন, ১৯ বছর বয়সী শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষেত্রে কোনো শিথিলতা দেখানো হবে না বলে তিনি স্থির সংকল্প। এ অবস্থায় বাংলাদেশি অভিবাসন আইন নিয়ে দুই দেশ দৃশ্যত দুই রকম কথা বলছে।
তবে বিবিসিকে শামিমা বলেছেন, আমার একটিই নাগরিকত্ব আছে। যদি তা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয় আমার আর কিছুই থাকবে না। আমার মনে হয় না তাদের এমনটা করার অধিকার আছে। এটা হলো একটি জীবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। এমন কি তারা আমার সঙ্গে কথাও বলে নি।