ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর দাবি উঠেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার সরকারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার। এর জবাবে ইমরান খান বলেছেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য আমি নই। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তাকে দেয়া উচিত, যিনি কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। সেই সমাধান হতে হবে কাশ্মিরী জনগণের ইচ্ছা অনুসারে। আর তাতে তৈরি হবে উপমহাদেশে শান্তি ও মানবিক উন্নয়নের পথ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।

এতে আরো বলা হয়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর আটক অফিসার, পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য লবিং শুরু করেছেন তার সমর্থক ও ভক্তরা। শুক্রবার ওই পাইলটকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার পর পরই একটি হ্যাশট্যাগ চালু করা হয়েছে।

এর নাম দেয়া হয়েছে ‘#নোবেল পিস প্রাইজ ফর ইমরান খান’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রোববার নাগাদ অনলাইনে এ দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ।

শনিবার আরো একধাপ এগিয়ে গেছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তাতে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য অভিজাত নোবেল পুরস্কার দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে প্রজ্ঞাময় ভূমিকা রেখেছেন ইমরান খান। আরো বলা হয়েছে, ভারতীয় নেতাদের আগ্রাসনে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুটি৫ দেশকে একটি যুদ্ধের প্রান্তসীমায় নিয়ে গিয়েছিল। এতে সীমান্তের উভয় পাশে কয়েক শত কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হতো। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ ও সক্রিয় ভূমিকায় সেই পরিস্থিতি এড়ানো গেছে। প্রস্তাবের শেষে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া যেতে পারে।

তবে আটক ভারতীয় ওই পাইলটের মুক্তির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ইমরান খানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য যে প্রচারণা শুরু হয়েছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা। পিপিপির শক্তিধর নেতা সৈয়দ খুরশিদ শাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশ এখনও যুদ্ধ অবস্থার মধ্যে আছে। অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার প্রচারণা শুরু করেছেন।

তিনি পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে আরো বলেন, এখনও বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ এমনটা দেখাতে একমত বিরোধী দলগুলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাত পর্যন্ত করেন নি। তার ভাষায়, আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন। কিন্তু তিনি তো বিরোধী দলীয় সদস্যদের হ্যালোও বলেন নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here