একতরফা নির্বাচন করার সময় কেউ যাতে আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য মানুষকে গায়েবি মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা গায়েবি মামলার আসামিরা এখনও হাইকোর্টে জামিন নিতে আসছে, আসলে ওই মামলাগুল্ইো একটা ভিত্তিহীন মামলা বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, এই মামলায় বহু সংখ্যক মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এই ধরনের মামলায় অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যেহেতু এই সরকারের পুরো নির্বাচনটাই এক ধরনের অবৈধ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেউ যেন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে তার জন্য এই ধরনের হয়রানি মামলা বা গায়েবি মামলা দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতির মধ্যে রাখা। গায়েবি মামলায় হাজার হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। সব মিলে নব্বই হাজার মামলায় বিশ থেকে পঁচিশ লাখ মানুষকে যুক্ত করে করা হয়েছে। মানবাধিকার অক্ষুণ্ণ রেখে কখনও এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করা সম্ভব নয়। তবে ফৌজদারি কিছু মামলা থাকলে সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু কোনোভাবেই রাজনৈতিক মামলা দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।

ভোটাররা ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। এই কর্মকর্তারা জনগণের দেয়া করের টাকায় তাদের বেতন নেন, কিন্তু তারা জাতির সামনে মিথ্যা কথা বলছেন। এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে আরেক রকম সমস্যার সৃষ্টি করবে। এরা সোজা কাজকে সোজাভাবে নিতে চায় না। সোজা কথা হচ্ছে, নির্বাচন হবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং ভোটাররা যাকে খুশি তাকে কোনো প্রকার ভয়ভীতি ছাড়া মনের আনন্দে ভোট দেবেন, কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here