বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনে দখলদারিত্ব নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই খুনখারাপীতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্য বেড়েই চলেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিনাভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্বে নিতে আধিপত্যের লড়াইয়ের জন্যই নির্বাচনী দায়িত্বরত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারী সদস্যসহ নিহত অন্যান্যদের প্রাণ ঝরিয়ে দেয়া হলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে দূর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার বিবৃতিতে দ্বিতীয় দফা একতরফা উপজেলা নির্বাচনে জনগণের কোন সাড়া দেয়নি। কারণ বর্তমান সরকারে অধীনে কোন নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। এই সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দুরে সরে গেছে। বিরোধীদলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকা একমাত্র ভরসা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন নেতারা স্থানীয় ক্ষমতা দখল করতে হিংসা প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরাচ্ছে। হিংসা বিদ্বেষ ক্ষমতাসীনদের রাজনীতির কর্মস–চি হওয়ার কারণে মানুষ হত্যার মত নারকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনপদের পর জনপদে রক্ত গঙ্গা বইছে। সরকার হুমকি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সন্ত্রাসের ব্যধিতে আক্রান্ত বাংলাদেশ।
আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেআইনি সন্ত্রাসী হামলায় দল-মত নির্বিশেষে যেকোন কোন মানুষের মৃত্যুকেই আমরা ঘৃণ্য কাজ বলে মনে করি এবং এর বিরুদ্ধে সবসময় তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার।