যুক্তরাষ্ট্রে ৩ দিনের বিডিআই সম্মেলন সমাপ্ত

0
560
বিডিআই প্রেসিডেন্ট ড. মুনির কুদ্দুসের কাছে থেকে এওয়ার্ড নিচ্ছেন ড. আতিউর রহমান

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক:
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় ঘটানোর ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনকারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সর্বত্র বাঙালি উচ্চারণে দ্বিধা করা চলবে না। পাশ্চাত্যে এমনকি ইউরোপে এখনও রবি ঠাকুরকে ‘ট্যাগোর’ বলা হচ্ছে। এই বিকৃতি রোধে সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে। অন্যথায় প্রবাসে বাঙালি প্রজন্মও এক সময় দ্বিধান্বিত হতে পারে যে, কে এই ‘ট্যাগোর’=।

রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘ট্যাগোর’-কে ঠাকুর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন তথা উপ-মহাদেশের বাইরের সকল বাঙালিকে সজাগ থাকা জরুরী। এটি সকলের দায়িত্ব।’

যুক্তরাষ্ট্রের মেধাবি বাঙালি পেশাজীবীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ তথা বিডিআইয়ের ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় সন্ধ্যায় ‘ট্যাগোর এ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট : সাম রিলেভেন্ট ইন্টারফেসেস’ শীর্ষক এক আলোচনায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে টেকসই উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন গরিবের ব্যাংকার খ্যাত ড. আতিউর।
এ সময় বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্যে ‘আজীবন সম্মাননা এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে। শারীরিক অসুস্থততার জন্যে সম্মেলনে আসতে না পারায় তিনি ভিডিও বার্তায় সেই এওয়ার্ড গ্রহণের পর শুভেচ্ছা জানান। সেটি গ্রহণ করেছেন তার ভাগ্নি কাওসার জাহান। এ সময় অর্থনীতির অগ্রগতিতে নিরন্তরভাবে কর্মরত ড. আতিউর রহমানকেও বিশেষ সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

বিডিআই প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর কার্যক্রম দেশ-বিদেশে বিস্তৃত করা তথা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় অশেষ অবদানের জন্যে আরেকটি এওয়ার্ড প্রদান করা হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারকে। এছাড়াও বিডিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. আশরাফ আলী, ড. ফরিদা কে চৌধুরী, ড. মুনির কুদ্দুস এবং ড. রহিম কাজীকেও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় দেশপ্রেমে উজ্জীবিত দল-নিরপেক্ষ প্রবাসীদের জন্যে চমৎকার এই প্ল্যাটফরম তৈরীর জন্যে। এই সম্মেলনের স্পন্সরদেরকেও বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয় সামনের দিনগুলোতেও সহায়তার দিগন্ত অবারিত রাখার অভিপ্রায়ে।

কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হ্যাভেন সিটিতে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে এ সম্মেলনের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত আলোচ্যসূচিতে ড. আতিউর বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ এশিয়াসহ বহির্বিশ্বে ঠাকুরের পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন সাহিত্যিক, কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার, আর্টিস্ট, সর্বোপরী একজন দার্শনিক। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে রবি ঠাকুর ছিলেন বিশ্বকবি। তার লেখাতে শুধু পূর্ব আর পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধনের পরিচয়ই ছিল না, প্রকারান্তরে তিনি হচ্ছেন এক শতাব্দির সাথে আরেক শতাব্দির আলোকবর্তিকা।

১৯৪১ সালে পরলোকগমনের আগ পর্যন্ত উনবিংশ এবং বিংশতিতম শতাব্দির মধ্যে দৃঢ় একটি সেতু রচনার কারিগর ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রচন্ডভাবে উদ্বিগ্ন আর ক্ষুব্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামাতেও ছিলেন ব্যথিত। রবি ঠাকুরের এমন কার্যক্রমে আজকের বিশ্ব সম্পর্কে আমরা কী শিক্ষা পেয়েছি-তা ভেবে দেখার অবকাশ রাখে। আজকের যে বিশ্বে আমরা বসবাস করছি, তা কী রবি ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্বের চেয়ে আলাদা নয়? যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তার কী পরিবর্তন ঘটেছে? এসব প্রশ্নের সহজ কোন জবাব পাওয়া যাবে না। তবে ঠাকুরের জীবন-ইতিহাস, তার অভিজ্ঞতা এবং পর্যালোচনার মধ্যেই পাওয়া যাবে জটিল সব প্রশ্নের জবাব।

ড. আতিউর বলেন, মোদ্দাকথা হচ্ছে, মানবতার সামগ্রিক উন্নয়ন ও কল্যানে রবি ঠাকুরের চিন্তা-ভাবনা ছিল সুদূর প্রসারি। তিনি অন্তরদৃষ্টির ভিত্তিতে শত বছর পরের অবস্থা দেখতে সক্ষম হয়েছেন এবং সে আলোকেই নিজের মতামত প্রকাশ করেন। অবকাঠামোগত, জীবনমান এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থার অভিপ্রায়ে টেকসই উন্নয়নের যে অভিযাত্রা চলছে-তাতে গভীর পর্যবেক্ষণ করলে রবি ঠাকুরের প্রভাব স্পষ্ট হয়।

বিডিআই’র এ সম্মেলনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের হাল-হকিকত নিয়ে গবেষণামূলক একটি সেমিনারে অংশ নেন সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের শিক্ষক এটর্নী সম্বালী হক, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারলিনার শিক্ষক মিনু তেওয়ারি এবং লেবার ভয়েসের কোল গীল। সঞ্চালনা করেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ক্যাম্পাসের শিক্ষক সি তা সাক্সেনা।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবন-মানের উন্নয়নের জন্যে শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দোষারোপ করলে চলবে না। একইসাথে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদেরকেও চাপে রাখতে হবে পণ্যের মূল্য নিদ্ধারণে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে। এছাড়া, গার্মেন্টস কারখানার মালিকদেরকেও সদয় হতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়। বাংলাদেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে মতামত/মন্তব্য করা হলে শ্রমিকরা সত্যিকার অর্থে উপকৃত হবে বলেও মনে করেন অনেকে।

‘অর্থনৈতিক ইস্যু: উন্নয়ন অর্থ এবং ভোক্তাদের ডাটা’-শীর্ষক এক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন
টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ এএ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এবং বিডিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট রহিম কাজী। গবেষণা ও পর্যবেক্ষণমূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক বার্নহার্ড জি গুন্টের, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. ফাইজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা ডিপার্টমেন্টের তৌহিদুল ইসলাম। মেসী ইউনিভার্সিটি অব নিউজিল্যান্ডের অধ্যাপক সৈয়দ আবুল হাসানও বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন এ বিষয়ে।

বস্টনের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসেচুসেট্্স’র অধ্যাপক ইলোরা এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইন্টারনাশন্যাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থটের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের শিক্ষক এম আব্দুল আজিজ, জাহাঙ্গিরনগর ইউনিভাসিটির অধ্যাপক আমিনা ইসলাম কথা বলেন সামাজিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে।

সমাপনী দিবস অর্থাৎ রবিবার (২৪ মার্চ)সকালে এই সম্মেলনের আলোকে জমা দেয়া গবেষণামূলক প্রবন্ধের লেখকদের এক প্রীতি আলোচনা হয় বিডিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ও টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ এএ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির ডীন ড. মুনির কুদ্দুসের সভাপতিত্বে। এতে প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন ড. আতিউর রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরিটাস মঞ্জুর আহমেদ।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং অবস্থার আলোকে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফাইজুল ইসলাম এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান, সায়েরা ইউনূস, মো. সিরাজুল ইসলাম এবং আব্দুল করিম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এ এফ এম আতাউর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভাসিটির নাবিলা মারুফ।

আলোচনার আলোকে পর্যবেক্ষণ-মতামত রাখেন মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও আনিস খান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর তার গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে এতবেশী সংবাদ এসেছে, যা কারো জন্যেই শুভফল বয়ে আনার পরিবেশ তৈরী করতে পারেনি। স্পর্শকাতর বিষয়ে এমন সব মনগড়া প্রতিবেদন তৈরী ও প্রচার করা হয়েছে, যা এক ধরনের অস্থিরতাকে উস্কে দেয়ার সামিল বলেও মন্তব্য করেন ড. আতিউর। এমনকি, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই-এমন লোকজনকে দিয়েও এ সেক্টরের রিপোর্টিং করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সম্পর্কিত এক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইলোরা সাহাবউদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবাইদা নাসরীন, ইউনিভার্সিটি অব সিডনির মোহাম্মদ সাইমুম প্যারেজ এবং আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের সৈয়দ ইফতেখার আহমেদ। তারা আলোচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের নিয়ে রাজনীতিদের আচরণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিতারণে ইসলামিক জঙ্গিদের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে।

‘পরবর্তী ৩০ বছরের বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’-স্লোগানে বিডিআই’র এই কনফারেন্সে ৫০টিও বেশী সেমিনারঅনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মেধাবি প্রবাসীদের সমন্বয়ে ১৯৮৮ সালে গঠিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ’ তথা বিডিআইয়ের উদ্যোগে এই সম্মেলনে কানাডা, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দেড় শতাধিক পেশাজীবী অংশ নেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অংশগ্রহণকারিদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী অর্থাৎ বাংলাদেশ নিয়ে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

লোভ-লালসার উর্দ্ধে অবস্থানরত এসব গবেষকরা প্রকৃত অর্থেই সমৃদ্ধশালি বাংলাদেশ রচনায় নিজেদের শ্রম-মেধার বিনিয়োগ ঘটাতে আগ্রহী। যদিও এই প্রথম বিডিআই সম্মেলনে বাংলাদেশের নীতি-নিদ্ধারক পর্যায়ের কাউকে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে সম্মেলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক ড. ফাইজুল ইসলাম এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘বিডিআই কখনোই রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম ছিল না। ভবিষ্যতেও হবে না। যারা এই সম্মেলনকে নিজেদের রাজনৈতিক মতলবে ব্যবহার করতে চেয়েছে-তারাই হতাশ হয়েছে।’

ড. ফাইজুল উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনিও আসেননি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা এটা জেনে নিজেদের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছে। তাই বলে আমাদের সম্মেলনের কার্যক্রমে ন্যূনতম ধীরগতি আসেনি।

এ প্রসঙ্গে ইয়েল ইউনিভার্সিটির তরুণ অধ্যাপক মুশফিক মোবারক সমাপনী অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সুশাসন, গণতন্ত্র, জলবায়ূ, পরিবেশ, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের আলোকে সুদূর এই প্রবাসে বেড়ে উঠা বাঙালি প্রজন্মের মধ্যেকার আগ্রহ অভিভূত করার মত। নিজেদের তাগিদে মা-বাবার দেশ নিয়ে তারা গবেষণা করছেন শত ব্যস্ততার মধ্যেও। এই সম্মেলন এমন সময়ে হওয়া উচিত যখন ইউনিভার্সিটি খোলা থাকে। তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটির ছেলে-মেয়েরাও সেমিনারেআসতে সক্ষম হবেন।

উল্লেখ্য, ৩/৪ বছর অন্তর বিডিআই সম্মেলন হচ্ছে। কারণ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধসমূহ আরো পর্যালোচনার পর একটি বই প্রকাশ করা হয়। যা বাংলাদেশ নিয়ে কর্মরতদের দেয়া হয় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ। আর এর ফলে তরুণ প্রজন্মের গবেষণা কর্ম আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বিডিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আশরাফ আলী।

এবারের সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে আরো ছিলেন নবেল উইমেন ইনিসিয়েটিভের শিরিন হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সোসাইটির ব্যারিস্টার সারা হক, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ড. দিনা সিদ্দিকী, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির রুহুল আবিদ, ইয়েল ইউনিভার্সিটির ম্যাকমিলন সেন্টারের মুশফিক মোবারক, স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের উপ-প্রধান অঞ্জনী জেইন, হ্যান্ডারসন স্টেট ইউনিভার্সিটির হারুন এ খান, কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির নওরীন তাবাসসুম, ব্রুনেই’র দারুসসালেম ইউনিভার্সিটির এ কে এম আহসানউল্লাহ, কানাডার লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির সদেকুল ইসলাম, সিপিডির ফাহমিদা খাতুন, মোহাম্মদ আল হাসান এবং সৈয়দ ইউসুফ সাদত, ঢাকা ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, আবুরেজা এম মুজারেবা, ফারহানা কবীর, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, বেল্লাল হোসেন, এস এম আব্দুল্লাহ, মো. জাকিউল আলম, সায়েমা হক বিদিশা, এস এম আব্দুল্লাহ, জান্নাতুল ফেরদৌস, বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস’র জহিরুল হক এবং আসিফ ইউ আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির বিরুপাক্ষ পাল, বিডসের রিজওয়ানা ইসলাম, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তানভির পাভেল এবং পল্লব মজুমদার, নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির সৈয়দ আবুল হাসান, বস্টন ইউনিভার্সিটির নাফিসা হালিম, বাংলাদেশের প্রাইসওয়াটার হাউজ কুপার্সের মামুন রশীদ, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব নটরডেমের হেলাল মোহাম্মদ খান, ইয়েল ইউনিভার্সিটির হ্যারি ব্লেয়ার, জ্যাক বারনেট হাওয়েল, সাসেক্স ইউনিভার্সিটির নাওমি হোসাইন, বার্থ ইউনিভার্সিটির জিয়োফ উড, রাটগার্স ইউনিভার্সিটির রওশন ফাতেমা, বাফেলো ইউনিভার্সিটির নাদিম মুর্শিদ, লেসলী ইউনিভার্সিটির নাফিসা তাঞ্জিম, তুলন মেডিকেল সেন্টারের এ কে এম মুক্তাদির, ইউএনডিপির শেখ মনিরুজ্জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নূর-ই ফয়জুননাহার, কাজি সাদিকা নূর, ডালিয়া রহমান, রুহি আন্দালিব হুদা, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের আহমেদ আহসান, ব্রীজ ফাউন্ডেশনের নাতাশা ইসরাত কবীর এবং মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গির নগর ইউনিভার্সিটির আদিল মোহাম্মদ খান এবং মামনুনাহ জুবায়েদ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিশেষজ্ঞ সুফিয়ান এ খন্দকার, মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির শামিমা রায়হান মঞ্জুর, জাগো ফাউন্ডেশনের করবী রাকশান্ড ধ্রুব, আইএফআইসি ব্যাংকের শাহ আলম সরোয়ার, জাতিসংঘ পপুলেশন কাউন্সিলের সাজেদা আমিন, ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের জাকি ওয়াহহায, আমেরিকা ইউনিভার্সিটির তনিমা আহমেদ এবং অর্ণব আলম, আরবান স্টাডি গ্রুপের দ্বৈত বনতুলশী, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির আরিফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রেইরি ভিউ এ এম ইউনিভার্সিটির নাবিলা শামিম, আইসিএমএ’র লক্ষী রাণী কুন্ডু, কম্প্যুটার এইডেড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পার্থ মোদক এবং সুকোমল মোদক, ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের সাকিব মাহমুদ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েই কাটুরের গাজী এম হাসান, টিআইবির জাকির হোসেন খান, শাহজালাল ইউনিভাসিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির আব্দুল হান্নান প্রধান, শামসুল আরেফিন এবং নওরোশ জাহান, লকহ্যাভেন ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ক্যাম্পাসের আহমেদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সাঈদ আজিজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সায়েরা ইউনুস, মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

আসছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফোবানার বাংলাদেশ সম্মেলনেও পজিটিভ বাংলাদেশ’র সমর্থনে একটি সেমিনারের আমন্ত্রণসহ বিডিআই কনফারেন্সে গিয়েছিলেন ফোবানার নির্বাহী সচিব জাকারিয়া চৌধুরী। সেখানে তিনি বিডিআই কর্মকর্তাগণের কাছে উল্লেখ করেছেন যে, সাধারণ প্রবাসীদের ঐ সম্মেলনে এ ধরনের আলোচনার অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন জাকারিয়া। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে একুশে পদকপ্রাপ্ত কন্ঠযোদ্ধা কাদেরি কিবরিয়ার দরদি কন্ঠে বেশ কটি গানের মধ্য দিয়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here