ব্রুনাইয়ে পুরুষের সমকামিতার শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে পাথর ছুঁড়ে হত্যা। এবছরের ৩ এপ্রিল থেকে পাথর ছোঁড়া ও অঙ্গচ্ছেদ আইন কার্যকর হবে।

এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ দেশ ব্রুনাই-এর জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার। সমকামিতা দেশটিতে এখনও অবৈধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছর। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকার সময় থেকেই দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও সাধারণত তা কার্যকর করতে দেখা যায় না।

তবে নতুন আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত বা পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির শাস্তি হিসেবে হাত বা পায়ের পাতা কেটে ফেলারও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

ব্রুনাইয়ের বর্তমান শাসক সুলতান হাসানাল বলখিয়া। ১৭৮৮ কক্ষের এক প্রাসাদে বাস করা এই সুলতানের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দেশের তেল বিক্রি থেকে এসব অর্থ উপার্জিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। তিনি বিগত কয়েক দশক ধরে রক্ষণশীল ইসলামের পক্ষ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এ শরিয়াহ আইন প্রচলনের উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছিয়ে আসে ব্রুনাই-এর সরকার। ওই সময়ে দেশটির বেভারলি হিলস হোটেলসহ বেশ কয়েকটি সার্বভৌম সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here