রওশন হাসান
পায়ে পায়ে পিছু ফেলে আসা বিস্তীর্ণ পথ সমতল
আগমনী বারতায় পাখিদের কোরাসে সমুদ্যত বৈশাখ
মেঘের বিপরীতে দাঁড়িয়ে রোদের নতমুখ প্রস্থান
আকাশের কিঞ্চিৎ দৈর্ঘ্য নিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ভাস্কর l
ভেবেছিলাম আঁকবো বিম্বিত তোমার নবান্ন মুখ
অসমাপ্ত সে ইচ্ছে পান করবে নিসর্গ চারিদিক
তুমিআমি মুখোমুখি দূরতম পরস্পরের দৃষ্টিপাঠে
আমি চেয়ে চেয়ে মিলে যাবো বেলাশেষে
গোধূলির নৈঃশব্দ্য নেমে আসা অবধি l
হৃদয়ে অনুরণন শৈশব অলিন্দে দুলে ওঠা
আমার সহস্র বিচ্ছেদ পার্বণ
সেই কবেই হয়েছে পুরাতন আচ্ছন্ন ঝরাস্মৃতি l
আমি অরণ্যময় হবো, না’হয় ফুটবো লু হাওয়ায়
নাগরঙ্গ বুণোফুল হয়ে
সব চাওয়া নাই যদি হলো মিলনামুখী স্রোতাশ্রয়
তবুও বিদীর্ণ আকুলতায় কেন স্বেচ্ছা এ পরাজয় ?