জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা…

0
843


হাসানুজ্জামান সাকী:
শুরুটা ২০০৬ সাল। তখনও পড়াশোনা শেষ হয়নি। ছাত্রজীবনেই যোগ দিলেন দেশের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল সিএসবি নিউজ-এ ট্রেইনি নিউজ প্রেজেন্টার ও রিপোর্টার হিসেবে। এরপর পড়াশোনা শেষ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোম ইকোনমিক্স কলেজ থেকে ক্লোদিং এন্ড টেক্সটাইল-এ ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। কিন্তু একাডেমিক পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে সেদিকে ক্যারিয়ার না গড়ে পেশা হিসেবে বেছে নিলেন সাংবাদিকতাকে। টিভি সাংবাদিকতায় তিনি ট্রেনিং নিয়েছেন সিএনএন-এর আনিতা ম্যাকনথ, বিবিসির রিচার্ড গজলান এবং ইএসপিএন’র পুনম শর্মাসহ অনেকের কাছ থেকে।

২০১২ সালে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ইউএস প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশন কাভার করতে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার পর যুক্ত হন নিউ ইয়র্কের স্থানীয় চ্যানেল টাইম টেলিভিশনে। সেখানে সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শুরুর দিন থেকে। তবে বর্তমানে তাঁর মূল পেশা স্কুলের শিক্ষকতা। নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের পাবলিক স্কুলের এসোসিয়েট টিচার তিনি।

এটিএন বাংলা ও বৈশাখী টেলিভিশনেও সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ও সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। রিপোর্টিং ও সম্পাদনা ডেস্ক দুই জায়গায়ই তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন ভয়েজ আর্টিস্ট হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশে গ্রামীন ফোন, বাংলা লিংক, এয়ারটেল, প্রাণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে ভয়েজ দিয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভূক্ত নাট্যশিল্পী।

গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সাংবাদিক বেলাল আহমেদ প্রতিষ্ঠিত ফুলকলি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে “কমিউনিটি উন্নয়নে নারীর ভূমিকা শীর্ষক” অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো উচ্চারণ করে সম্মাননা জানানো হলো সাদিয়া খন্দকারকে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিলেন আর নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা পরিয়ে দিলেন উত্তরীয়।

অনুষ্ঠানে ১২ জন নারীকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন– রেক্সোনা মজুমদার, শাহানারা রহমান, নাঈমা খান, আইরিন পারভীন, কাবেরী দাস, মোর্শেদা জামান, মেহেরুননেসা জোবায়দা, ফরিদা ইয়াসমীন, রানু নেওয়াজ, লিপি মনোয়ার, সাদিয়া খন্দকার ও শামসুন্নাহার নিম্মি।

লেমন চৌধুরীর গান দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, মোর্শেদ আলম, মোহাম্মেদ এন মজুমদার, শাহ নেওয়াজ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সামসুদ্দিন আজাদ, আবু তাহের, ফাহমিদা জাবীন সোমা, কাইয়ুম মোহাম্মেদ, বেলাল আহমেদ। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (মিডিয়া) নূর এলাহী মিনা, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের কন্যা লাজিনা মুনা।

নিউ ইয়র্কে সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা, আন্তরিক অভিনন্দন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here