কুমিল্লায় স্টাফ ধর্ষণের অভিযোগে মালিক গ্রেফতার

0
56

কুমিল্লার লাকসামে ধর্ষণের অভিযোগে ডা. মীর হোসেন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব। ঐ ভুয়া ডাক্তার লাকসাম শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক।

বুধবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক এবং বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মীর পৌর শহরের বাইনচাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। ধর্ষিতা চার মাস ধরে ধর্ষক মীরের মালিকাধীন হাসপাতালের হেলথ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। চাকরির শুরু থেকেই তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল মীরৈ। চাকরি রক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য সবকিছু সহ্য করে আসছিলেন ঐ হাসপাতাল স্টাফ। এক পর্যায়ে ডা. মীর হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। গত চার মাসে অন্তত ৩০ বারের অধিক ধর্ষণ করা হয় নার্সকে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর সে তার শরীরে অজ্ঞাত একটি ইনজেকশন পুশ করতো।

ধর্ষণের পর মীর হোসেন হুমকি দিয়ে বলে, এ কথা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে। দ্ররিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন ঐ নারী। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার বেড়ে চলায় নিরুপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১এর কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ কন্ডমসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় জব্দ করি। সে কোনো ডাক্তার নয়। সে চাকরি দেয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here