বাংলাদেশকে চীনের ওয়ান রোডে যুক্ত হতে হবে

0
185

বাংলা খবর ডেস্ক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে একটি ন্যায়ানুগ নয়া বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে এর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এটা তাদের এবং এশিয়ার স্বার্থেই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অর্থনৈতিক ভরকেন্দ্র এখন এশিয়াতে এবং চীন সেটার নেতৃত্ব দিচ্ছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্য বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড দ্য নিউ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ওয়ার্ডার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান আরও বলেন, চীন তার উদ্বৃত্ত অর্থ তৃতীয় বিশ্বের অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যারা এ কথা বলেন যে, চীনের এই বিনিয়োগ ঋণের ফাঁদ তৈরি করছে এবং সেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার উদাহরণ দেয়, তাদের বলা প্রয়োজন, চীনের বিনিয়োগের বহু আগেই পাকিস্তান তাদের ৭ লাখ সৈন্য পালতেই এই ঋণের ফাঁদে পড়েছিল। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এতে সভাপতিত্ব করেন। রাশেদ খান মেনন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে যেভাবে সাজিয়েছিল তাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো চূড়ান্ত অসম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে পৃথিবীর পরাধীন দেশগুলো ঔপনিবেশিক শাসনের কবলমুক্ত হতে স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছিল। তারা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে জায়গা নিতে পারছিল না।

মেনন বলেন, ওই সময়ে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সভাপতি জাতিসংঘের মহাসচিবকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমতা বিধানের উদ্যোগ নিতে বলেন। জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কখনই এটা মেনে নিতে পারেনি। বরং বিশ্বায়নের নামে পশ্চিমাদের আরোপিত নয়া উদারনীতি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানুষের জীবনমান আরও নেমে যায়। সৃষ্টি হয় বিপুল পরিমাণ ধনবৈষম্য।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি প্রফেসর মইনুল ইসলাম বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির আফিমে ডুবে আছে বর্তমান সরকার। এর ফলে ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে ২০০ জনের বেশি ধনীর সম্পদ ২৫০ কোটি টাকার ওপরে। অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে আয় বৈষম্য আরও বাড়বে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, পশ্চিমা দুনিয়ার আধিপত্যবাদ এশিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সৃষ্টি হয়েছে। এশিয়া যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তারই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখন এশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এনাম আহমেদ চৌধুরী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here