স্থগিতই থাকছে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট

0
59

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট স্থগিত করা থেকে সরে আসছেন না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার এবারের শেষ অধিবেশন বসে। এই সময় এমপিদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক হয়। আগাম নির্বাচন হলে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো যে কোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করবেন। তবে সেটা না হলে ৩১ অক্টোবর পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন বসবে। ১৫ অক্টোবর আগাম নির্বাচন হবে কি না সেই প্রস্তাবের ওপর গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো ভোট হওয়ার কথা। তবে ভোটের আগেই প্রধানমন্ত্রীর বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা নির্বাচনের বিপক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে আগামী নভেম্বরের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক ডাচ মন্ত্রী সতর্ক করেছেন, ব্রিটেনকে নিয়ে ইইউ ধৈর্য্য হারাচ্ছে।

ধারণা ছিল, পার্লামেন্টে সবকয়টি বিলে হারার পর সরকার হয়তো পার্লামেন্ট স্থগিত করা থেকে সরে আসবেন। কিন্তু গতকাল ডাউনিং স্ট্রিট নিশ্চিত করেছে, সোমবারের পর পার্লামেন্ট স্থগিত থাকবে। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিদের পক্ষে কোনো সক্রিয় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না। তারপর রানির ভাষণের মাধ্যমে নতুন অধিবেশন শুরু হবে। পার্লামেন্টে জরুরি বিতর্কের জন্য ইতোমধ্যে দুটি আবেদন জমা পড়েছে। একটি আবেদন করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। আরেকটি করেছেন ডোমিনিক গ্রিভ। কিন্তু কি বিষয়ে বিতর্ক তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।এমপিরা দাবি করেছেন, তারাও নির্বাচন চান। তবে এর আগে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। ইতোমধ্যে পার্লামেন্টে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে। গতকাল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ওই বিলে স্বাক্ষর করার কথা। এটি আইনে পরিণত হলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী জনসন। তাকে ইইউর কাছে ব্রেক্সিট বিলম্বের জন্য আবেদন করতে হবে। যদিও তিনি সেটি করবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রীরা বলছেন, সরকার অবশ্যই আইন মানবে। তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় কী বলা হয়েছে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা আলোচনা করছেন, আইনের আওতায় থেকেই কিভাবে পার্লামেন্টকে উপেক্ষা করা যায় তা নিয়ে। তাদের পরিকল্পনার আওতায় ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি চিঠিতে জানানো হবে যে ব্রিটিশ সরকার ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়াতে চায় না।

সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার বিকল্প নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত জনসন কোনো প্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করতে না পারলেও তিনি আগামী ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই প্রশ্নে বোঝাপড়ার আশা প্রকাশ করেছেন। ভারাদকার অবশ্য দ্রুত কোনো সমাধানসূত্র আশা করছেন না বলে জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here