বাসর রাতে নববধুকে রেখে নিখোঁজ হওয়া বর আব্দুল কাদির শুকুর অবশেষে ঘরে ফিরেছেন। ১৯ ঘন্টা পর শনিবার রাতে তার সন্ধান মিলেছে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের আতলীঘাট এলাকায়। তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানান। তবে পুলিশ বলছে ঘটনা ভিন্ন। শারীরিক সমস্যায় আত্মগোপন করেন শুকুর।
সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বাছিরপুর চাক্কাটিলা গ্রামের চরু মিয়ার ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল কাদির শুকুর। গত শুক্রবার তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জায়ফরনগর ইউনিয়নের কাটানালারপার গ্রামের আঁখি আক্তারের সাথে। কার্যত প্রেমের সম্পর্কে ছয় মাস আগেই তাদের গোপনে বিয়ে হয়েছিল। পরিবার প্রথমে তা মেনে না নিলেও ছেলের জেদের কাছে অভিভাবকরা হার মানেন।
অবশেষে শুক্রবার রাতে মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে আনা হয়। রাত ১২টায় বাসর রাতে নববধুকে রেখে বাথরুমে যাবার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান বর আব্দুল কাদির শুকুর। ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করার পর বর ফিরে না আসায় নববধু লজ্জা ভেঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানান। এরপর বরকে খুঁজতে গিয়ে বাথরুমের কাছে পাওয়া যায় আব্দুল কাদিরের গায়ের গেঞ্জি ও পায়ের জুতা। শনিবার সকালে বর নিখোঁজের বিষয়টি চাউর হলে নানা আলোচনার জন্ম নেয়। বড় ভাই নুর ইসলাম জুড়ী থানায় একটি জিডি করেন।
স্বজনরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশের উপজেলা বড়লেখার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নে পাওয়া যায় আব্দুল কাদির শুকুরকে। আতলীঘাট এলাকায় হাত-পা বাধা অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে ফোন করে জানান স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জুড়ী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম সরদার বলেন, ‘বর আব্দুল কাদিরের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। লজ্জায় নিজে বাসর ঘর থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। উদ্ধারের পর চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।’