বাংলা খবর ডেস্ক: পিরোজপুরে বিউটি বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈইকখালী গ্রামে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি স্বামী ফিরোজই তাকে হত্যা করেছে। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
স্বামী ফিরোজের বরাত দিয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, শনিবার গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বিউটি বেগম স্বামীর সঙ্গে বাইরে বের হন। ফেরার পথে হঠাৎ করে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় ভয়ে ফিরোজ দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেলে হামলাকারীরা বিউটিকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকে অভিযোগ করেছেন ফিরোজই বিউটিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা জানান, বিউটিকে হত্যার জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে সন্তানদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ফিরোজ।
গৌরিপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈইকখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক জানান, বিউটি বেগমকে তাদের ঘরের সামনে সিঁড়িতে বসে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিউটির সঙ্গে ফিরোজের প্রায়ই ঝগড়া হতো। যার নালিশও তার কাছে আছে।
এ বিষয়ে ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মো. ফিরোজ হাওলাদার, প্রতিবেশী মাওলানা আলম হাওলাদার (৪৮) ও মো. আল আমিন (৩০) নামে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে রোববার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) হাসান মোস্তফা স্বপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি মাকসুদুর রহমান।