উন্মুক্ত মাঠে স্টেডিয়াম করার বিপক্ষে পাপন

0
65

বাংলা খবর ডেস্ক: এলাকার যেকোনো উন্মুক্ত মাঠে স্টেডিয়াম করার বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, এলাকার যেকোনো উন্মুক্ত মাঠে এলাকার ছেলেরা স্বাধীনভাবে বিভিন্ন খেলাধুলা করে থাকে। সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে তালা মেরে রাখা হয়। এলাকার কেউ প্রবেশ করতে পারে না, খেলাধুলা করতে পারে না। এতে কল্পনাতীত ক্ষতি হচ্ছে। স্টেডিয়ামের চেয়ে খেলার মাঠ বেশি প্রয়োজন।

সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪র্থ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পাপন ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জুয়েল আরেং, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও জাকিয়া তাবাসসুম অংশ নেন।

সূত্র জানায়, বৈঠক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনায় স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রসঙ্গ ওঠে আসে। পাপনের বক্তব্যের আগে সভাপতির আহ্বানে ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম (পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে) ক্রীড়া পরিষদের ভূমিকা, ভিশন ও মিশন, পরিচালনা কমিটি, জনবল, কার্যাবলি, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য, চলমান প্রকল্প এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করেন।

কমিটির সভাপতি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদ বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

এরপর কমিটির সভাপতি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম দ্রুত নির্মাণের পরামর্শ দেন।

এ সময় নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এলাকার যেকোনো উন্মুক্ত মাঠে এলাকার ছেলেরা স্বাধীনভাবে বিভিন্ন খেলাধুলা করে থাকে, সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে তালা মেরে রাখা হয়। এলাকার কেউ প্রবেশ করতে পারে না, খেলাধুলা করতে পারে না। এতে কল্পনাতীত ক্ষতি হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, কক্সবাজার একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল এবং ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য সব রকম প্রস্তুতির অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ৩টি করে উন্মুক্ত পূর্বের মাঠ এবং এর চার পাশে ওয়াকওয়ে ও ড্রেন তৈরি করে খেলাধুলার উপযুক্ত করে দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

সভাপতি খেলার উপযোগী যে স্টেডিয়ামগুলো তালাবন্ধ সেগুলো উন্মুক্তভাবে খেলার জন্য খুলে দেয়ার পরামর্শ দেন।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এম নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জেলা বা উপজেলার জনবহুল এলাকায় ভিন্ন মাঠ থাকা সত্ত্বেও খেলার মাঠগুলো সারা বছর রাজনৈতিক প্রগ্রামসহ গান-বাজনা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্যান্ডেল, মেলা, স্টল করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ জন্য বিধিনিষেধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো শুধুমাত্র খেলাধুলার কাজে ব্যবহার হয় সে জন্য নজরদারির আওতায় আনা প্রয়োজন।

সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী তার এলাকার তিনটি উপজেলার ৭টি মাঠ সংস্কারের কাজ করা হয়েছে উল্লেখ করে মাঠ সংস্কারের জন্য ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করার জন্য প্রস্তাব করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here