চাকরির প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ

0
57

বাংলা খবর ডেস্ক: চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নরসিংদীতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। শুক্রবার দিবাগত রাতে শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাকিব মিয়া (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সৃষ্টিগড় গ্রামের রবিউল্লাহর ছেলে। এছাড়া আরিফ (২৫) নামে এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। সে একই এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে।

শিবপুর থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি রায়পুরা উপজেলায়। সে স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। বাবা ভ্যানচালক। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আরিফ মিয়া নিজেকে একটি কোম্পানির মালিক পরিচয় দিয়ে তাকে চাকরির প্রলোভন দেখায়। এরপর শুক্রবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলে। তার কথায় বিশ্বাস করে কলেজছাত্রীটি শিবপুরের বড়ইতলা এলাকায় স্যামসাং কারখানার সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় আরিফ তাকে পণ্য প্রচারের জন্য সেলসম্যান হিসেবে কাজের প্রস্তাব দেয়। পরে তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে আরিফ ও তার সহযোগী রাকিব কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। এরপর রাতে হাজীবাগান এলাকায় নিয়ে তাকে লাথি দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে মুখ বেঁধে একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সকালে জঙ্গলের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে কলেজছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে সে কৌশলে পালিয়ে এসে স্থানীয় একজনের সহায়তায় শিবপুর মডেল থানায় যায়। এরপর পুলিশ তাকে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত রাকিবকে আটক করেছে। তবে অপর ধর্ষক আরিফ পলাতক রয়েছে।

ধর্ষিতার মা বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে আরিফ তার মেয়েকে শুক্রবার ডেকে পাঠায়। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পেরিয়ে গেলেও মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। সারারাত মোবাইলে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। শনিবার দুপুরে শিবপুর হাসপাতালে নেয়ার পর আমরা ঘটনা জানতে পারি।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন কলেজছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সৃষ্টিগড় এলাকা থেকে রাকিব নামে এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আর তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here