বাংলা খবর ডেস্ক: চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে কারসাজিতে জড়িত দুই আমদানিকারকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেএস ট্রেডার্স ও হোসেন ব্রাদার্স নামের ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর স্টেশন রোডের নূপুর মার্কেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সেলিম হোসেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের ঘোষাল কোয়ার্টারের জে এস ট্রেডার্স এর মালিক মিনহাজুদ্দিন বাপ্পি (২৮) এবং হোসেন ব্রাদার্সের মালিক আবুল হোসেন (৫৫)।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আমরা খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ইনভয়েস এবং আমদানি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছিলাম। সে মোতাবেক চট্টগ্রামের তিনটি আমদানিকারকের ঠিকানা পেয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, নূপুর মার্কেটে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে গিয়ে একটি জুতার দোকান দেখা গেছে। পরবর্তীতে ঘোষাল কোয়ার্টারে অবস্থিত এস কে ম্যানশনের আরও দুটি দোকানে দেখা যায় তারা বর্মিজ প্রসাধনী পণ্যের আমদানিকারক। কিন্তু দোকানে তল্লাশি করে বিক্রিকৃত পেঁয়াজের বিভিন্ন রসিদ পাওয়া যায়। আসলে তারা পেঁয়াজও আমদানি করে।
অভিযানের সময় দোকান দুটির ম্যানেজারসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিনহাজুদ্দিন বাপ্পি ও আবুল হোসেন পেঁয়াজ মজুতদারি ও মূল্যে কারসাজির কথা স্বীকার করেন। এছাড়া তারা পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত কক্সবাজারের টেকনাফ ভিত্তিক কয়েকজন ব্যক্তির নাম জানান। এরা হলেন- হাজী ফয়েজ, বার্মা কামাল, সৈয়দ করিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দামের কারসাজিতে যুক্ত থাকায় ও কাগজপত্রবিহীন ভাবে কালোবাজারির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আবুল হোসেন ও মিনহাজুদ্দিন বাপ্পিকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।