বাংলা খবর ডেস্ক: রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিলে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু মুষ্টিমেয় বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে উৎপাদন না করেও বসিয়ে বসিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে টাকা দিচ্ছে। এ মুনাফা-লুটপাটের অর্থ জোগান দিতেই বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ঢাকা মহানগর শাখার নেতারা এসব কথা বলেন। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং সিপিবি নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানসহ সারা দেশে বাম নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন তারা।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর শাখার সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন ও আহসান হাবিব বুলবুল।
নেতারা বলেন, সরকারের এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনের আশ্রয়ও যাতে নেয়া না যায় সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ৮ বার লোকসানের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু লোকসান কমেনি। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতে লোকসানের মূল কারণ পিডিবির সিস্টেম লস, সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। কিন্তু সরকার তা দূর করতে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, চাল, সয়াবিন তেল, আদা, রসুনসহ নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ যখন দিশেহারা, ঠিক তখন সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা জনগণকে আরও দুর্ভোগে ফেলবে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের এই অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, দুঃশাসন ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বাসদসহ বামপন্থীরা সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত করছে। জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে দমন করতে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, বরগুনা, কুমিল্লা, ঢাকার সূত্রাপুর, শান্তিনগরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পেটুয়া পুলিশ বাহিনী হামলা পরিচালনা করেছে। হামলাকারীরা ইতোমধ্যে জামালপুরে সিপিবির বর্ষীয়ান নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অঞ্চলে বাসদ-সিপিবিসহ বামপন্থীদের সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান ও হামলা করেছে।