বাংলা খবর ডেস্ক: তুরস্কের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছে। তারা সিরিয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার চলমান হামলার কারণে সিরিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে তুরস্কের দিকে যাচ্ছে।
ক্রমাগত হামলা থেকে বাঁচতে লোকজন পালাতে বাধ্য হচ্ছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সীমান্তের কাছে গাড়িবোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে আট বেসামরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে এক নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিব প্রদেশে ক্রমাগত বোমা হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় তুর্কি সীমান্তের দিকে পালাচ্ছে সিরীয়রা। ইতোমধ্যেই প্রায় ৩৭ লাখ সিরীয় শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থীর বোঝা মাথায় নিয়েছে তুরস্ক।
এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সতর্ক করে বলেছেন, তুরস্ক নতুন করে আর সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারবে না। সিরিয়ায় নতুন করে যে শরণার্থী স্রোত তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তুরস্ক।
ইদলিব প্রদেশে রাশিয়াকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। তুর্কিভিত্তিক মানবিক ত্রাণ সহায়তা (আইএইচএইচ) বলছে, সোমবার তুর্কি সীমান্তের দিকে পালিয়েছে এক লাখ ২০ হাজার সিরীয় নাগরিক।
ওই অঞ্চলে দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ইদলিব পুণরায় দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ। এটিই সর্বশেষ এলাকা যেখানে এখনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সিরিয়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই বাসার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া এবং ইরান।