স্থানীয় সময় শনিবার ম্যানহাটন সেন্ট্রাল পার্কের ওজি ফেস্টে হিলারি পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা জানি না আবদ্ধ রুমে তা দুইজন কি নিয়ে কথা বলেছেন। তবে সাবেক কেজিবি গোয়েন্দা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ভাল করেই জানেন যে কিভাবে প্রভাব বিস্তার ও মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়।’ এই সময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কথা না বলার জন্য ট্রাম্পের নিন্দা করেন হিলারি। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ‘তিনি কেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কথা বললেন না সেটি একটি রহস্য। আমাদের প্রেসিডেন্ট এমনটি করতে পারেন না।’

হিলারি আরো বলেন, ‘আমি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম কখনোই পুতিনের সঙ্গে ছিলাম না। সত্য বলতে যে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে সে পুতিনের সঙ্গে থাকতে পারে না, কারণ তিনি সবসময় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন ও প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ওপর হস্তক্ষেপ করেন।’

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে হিলারি বলেন, দশকের দশক ধরে আমরা বৈচিত্র্যকে সমর্থন করে গিয়েছে। অভিবাসন নীতির মাধ্যমে নিজেদের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করেছি। কিন্তু এখন আমেরিকা ঘড়ির উল্টো দিকে চলছে যা আমেরিকার আদর্শকে আঘাত করেছে।

অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এর স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস মঞ্চে হিলারির সাক্ষাৎকার নেন। এই সময় তিনি হিলারিকে বিশেষ কাউন্সিলর রবার্ট মুলারের তদন্তে ১২ রুশ সামরিক কর্মকর্তাকে নির্বাচনকালীন ডেমোক্রেটিক পার্টির ই-মেইল হ্যাকের জন্য অভিযুক্ত করা ইস্যুতে প্রশ্ন করলে হিলারি বলেন, ‘এখনো রাশিয়া মার্কিন ভোটারদের তথ্য চুরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। সিলিকন ভ্যালির অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। তারাও আশঙ্কা করছেন ভবিষ্যৎ নির্বাচনেও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঝুঁকি আছে। ইন্টারনেটের কারণে ভোটিং মেশিনে হস্তক্ষেপ করা অসম্ভব নয়।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here