বাংলা খবর ডেস্ক: বরগুনার পাথরঘাটায় মুনছুর তালুকদার (৬০) ও সাইকুল ইসলামের (৪৫)বিরুদ্ধে আগুনে লাগিয়ে সাড়ে ৭ একর জমির ধান পুরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকালে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফারুক ও ছিদ্দিক উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালতলী গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
অভিযুক্ত মুনছুর তালুকদার (৬০) একই এলাকার মকবুল তালুকদারের ছেলে ও সাইকুল ইসলাম (৪৫) আবদুস ছোবাহানের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফারুক ও ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, এ বছর আমাদের ৭ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। আমাদের বাড়ি থেকে ধানক্ষেত দূরে হওয়ায় ক্ষেতের পাশে রাস্তায় ধানের পালা (ধানের গাদা) দিয়ে রেখেছিলাম। ওই ধানের পালার পাশে অভিযুক্ত মুনছুর তালুকদার ও সাইকুল ইসলামের ধানের পালা ছিল। কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও আমার ধানের পালায় আগুন দিয়ে ২৪০ মণ ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদের সারা বছরের আয়-রোজগাড় সব শেষে হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান যদি সুষ্ঠু বিচার না করে তবে আমরা আইনের আশ্রয় নিব।
অভিযুক্ত মুনছুর তালুকদার ও সাইকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ওই ধানের পাশে রাখা নারা (খড়) এ আগুন দিয়ে পুরে ফেলতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু তা মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে ধানের পালায় লেগে যাবে তা বুঝতে পারিনি।আমরা শত চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারিনি। আমাদের কাছে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসে দেখে গেছে তার মাধ্যমে সালিশ ডেকে সমাধান করে নিব।
এ বিষয়ে কাঁঠালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, আগুনে পুরে যাওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। সেখানে আগুন দেয়ার ব্যাপারে মুনছুর তালুকদার ও সাইকুল ইসলামের নাম এসেছে। মুনছুর তালুকদার আগুনে পুরে গুরুতর অবস্থা হয়ে দূরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আসলেই সালিশ করে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেব।