স্মৃতি জড়ানো সিলিকন ভ্যালি খ্যাত বে এরিয়া

0
89


আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু:
আটলান্টিকের তীরে নিউইয়র্ক এ যখন তুষারপাত হচ্ছে, তখন পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়ায় গড় তাপমাত্রা ৬০/৭০ ডিগ্রি। এক সপ্তাহের জন্য স্বস্থিতে কাটালাম আমার ৩২ বছর আগের স্মৃতি জড়ানো সিলিকন ভ্যালি খ্যাত বে এরিয়ায়। এবারের ভ্রমণে বে এরিয়া থেকেও বাইরে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহৎ জনবহুল সিটি লস এঞ্জেলেস এ গেছি। এর আগে একবার সেখানে ট্রানজিট ছিল। সিটি দেখা হয়নি। এবার সে সুযোগ হলো। পরিচিত কিছু মুখের সাথে সাক্ষাতও হলো। আশরাফ ভাই, তুহিন ভাই, আনিস ভাই, ময়েজ ভাইসহ আরো অনেকে। বে এরিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের তীর ধরে গেলে ৫০০ মাইলের বেশি। একদিকে পর্বত, আরেকদিকে সাগরের নীল শোভা দেখতে দেখতে গেছি, ফেরার পথে সোজা হাইওয়ে ধরে প্রায় চারশ মাইল এসেছি। চালক হিসেবে ছিল আমার জামাতা রায়হান। বেচারিকে উইকএন্ড ছাড়াও একদিন ছুটি নিতে হয়েছে শ্বশুর শাশুড়ির জন্য।



ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চিরসবুজ ষ্টেট। দক্ষিণে কিছু মরুময়তা আছে। কিন্তু উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া সবুজের দিক থেকে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এমন কোনো ফসল-ফল নেই, যা ক্যালিফোর্নিয়ায় উৎপন্ন হয় না। সে কারণে এ ষ্টেট জনবহুল। গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান এর সদর দফতর বে এরিয়ায়। বিশ্বের অন্যতম সেরা ষ্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও এখানে। দরিদ্র মানুষের জন্য এ এলাকা নিষিদ্ধই বলা চলে।
মেয়ে ও জামাতা যেখানে বাস করে সে এলাকার নাম ফ্রিমন্ট। ছোট সিটি। পাশেই উঁচু পাহাড় সারি। মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক লেক। প্রচুর গাছপালা। সবুজের মাঝে কন্টক-সৌন্দর্য হিসেবে আছে নানা প্রজাতির ক্যাকটাস। আজ নিউইয়র্ক এর উদ্দেশে উড়াল দেয়ার আগে কয়েক প্রজাতির ক্যাকটাস এখানে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। সাথে আগাছার মত জন্মানো পেয়ারা ও কমলা গাছের ছবিও দিলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here