গুলিস্তানের পাতি নেতাও কমিশনার হয়ে যায়: সিইসি 

0
84

বাংলা খবর ডেস্ক: গুলিস্তানে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা ওঠানো পাতি নেতাও এক সময় কমিশনার হয়ে যায়। আজ গুলিস্তান মহল্লায় হকারদের কাছ থেকে যে ব্যক্তি টাকা উঠাচ্ছে পর্যায়ক্রমে সেই একদিন পাতি নেতা, উপনেতা, পূর্ণ নেতা তারপর কমিশনার হয়ে যাচ্ছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ কথা বলেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।

সিইসি বলেন, ‘লন্ডনে কেউ ছয় মাস থাকলে নির্বাচনের আগে তাদের নিবন্ধন দিয়ে দেয়। ভুয়া ভোটার নেই বলেই তারা ধরে নেয়। আর আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনকে মলম পার্টি, পকেটমার, ব্যাগ টানা পার্টি ও ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘দেখা গেল এই যে গুলিস্তানে, মহল্লায় যারা হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিছুদিন পর হয়তো তাকে দেখা গেল নেতা, পাতি নেতা, উপ-নেতা তারপর পূর্ণ নেতা হতেও। তারপর কমিশনার হতে। এগুলোও তো আমাদের দেখতে হয়। কে জানেন, তিনি একদিন এমপি হবেন না? সুতরাং সেই ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়।’

নতুন যোগদানকৃত থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের, যারা সবকিছু নিয়ে কাজ করেন, তাদের সামাল দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় হলো-চেষ্টা, দক্ষতা ও একাগ্রতা। আর আপনাদের ব্যক্তিত্ব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এটা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। আমরা বলি কী- সেই একই কথা, যে সুইজারল্যান্ডে তো পেপার ভোট হয়। কিন্তু সেখানে তো যুদ্ধের মতো বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হয় না। পুলিশ, আর্মি সকলকে নামাতে হয় না। পোস্টারে আকাশ দেখা যায় না, বাতাস আসে না। সেই দেশে তো এমন হয় না। তাই বলে কী আমাদের এখানে নির্বাচন করতে হবে না। সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here