দিল্লির ঘটনায় অমর্ত্য সেনের উদ্বেগ প্রকাশ

0
67

বাংলা খবর ডেস্ক: ভারতের দিল্লির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। শনিবার দেশটির ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’-এর একটি আলোচনায় অংশ নেন তিনি। ‘দিল্লিতে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, পুলিশ আটকাটে পারছে না’, এই মন্তব্য করে পুলিশি অক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অমর্ত্য সেন।

দিল্লির ঘটনা নিয়ে আপনি কতটা উদ্বিগ্ন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন যে এমন একটা শহর, যা দেশের রাজধানী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হয় কী করে? পুলিশ আটকাতে পারে না? নাকি প্রয়োজনীয় চেষ্টা করে না? এটা যদি ঠিক হয় তাহলে চিন্তা করার কারণ আছে। এটা তো সত্য, যাঁরা মারা খাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলমান ও সংখ্যালঘু। এদিকে ভারতবর্ষ একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে এরকম একটা পার্থক্য যদি তৈরি হয় ও এটা চলতে থাকে, তাহলে আমাদের চিন্তা করার কারন আছে বৈকি। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে এটা নিশ্চয়ই চিন্তার বড় কারণ। তবে আমি গর্বিত আমি ভারতীয় নাগরিক।’

দিল্লির সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘সরকারি চেষ্টার অভাবের জন্য অথবা পুলিশের অক্ষমতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে. সেগুলো আমাদের বিচার করতে হবে। আমি নানা বিষয়ে বিচার না করেই কথা বলার পক্ষে নই।’
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিকে সরানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে তো আলোচনা হচ্ছে। যাকে সরানো হয়েছে তাকে আমি চিনি এবং কি কারণে ঘটেছে এটা নিয়েও একটা বড় প্রশ্ন উঠতে পারে। যখন তিনি বিচার করে জনগণকে সাহায্যের চেষ্টা করছেন, সেই সময় কেন তাঁকে সরানো হলো? সব দিক বিচার না করে অবশ্য আমি এর জবাব দিতে পারব না।’

ভারতবর্ষে গণতন্ত্র এখন কোন পর্যায়ে? এই প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা যদি বন্ধ হয়, কেউ যদি মতবিরোধ প্রকাশ করেন, তাঁর কণ্ঠরোধ করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের একটা ঘাটতি পড়ছে। গতন্ত্রের অন্য দিকটা নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনে নানা দলের আর্থিক ব্যবধান গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, সেটা নিয়েও চিন্তা করার কারণ আছে।’ সূত্র: নিউজ এইট্টিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here