বাংলা খবর ডেস্ক: রাঙামাটিতে পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জনকে আটক করেছে করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আটকের পর রাঙামাটি রিজিয়নে তাদের গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি করেন সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
আটকরা হলেন- দীগন্ত চাকমা (৩১) ও শঙ্খদীশ কুমার বড়ুয়া (৪৬)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে চট্টগ্রামের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) ও সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল। তখন ওই এলাকায় অস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান করছিলেন শঙ্খদীশ কুমার বড়ুয়া। এসময় চারপাশ ঘেড়াও করে আটক করা হয় তাকে। এসময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। শঙ্খদীশ ওই এলাকার মৃত কালীকুমার বড়ুয়ার ছেলে। আটকের পর রাঙামাটি সেনা রিজিয়িনে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি করা হয় তাকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শঙ্খদীশ কুমার বড়ুয়া রাঙামাটির স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের পক্ষ হয়ে চাঁদা সংগ্রহ করতো বলে স্বীকার করেন বলে র্যাব-৭ -এর পক্ষে মেজর শামীম সরকার জানান।
তিনি বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের রেশন, পোষাক, অস্ত্র গোলাবারুদসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন শঙ্খদীশ। এছাড়া সে দীর্ঘদিন যাবৎ রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে যোগসাজশে চাঁদাবাজী করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কোতায়ালী থানায় চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন র্যাব-৭ ও সেনবাহিনী।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, আটক অভিযুক্ত শঙ্খদীশ কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে, একই দিনে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ১৯ মাইল এলাকা থেকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি দীগন্ত চাকমাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক চিজ্ঞাসাবাদের পর রাঙামাটির কাউখালী থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
আটক দীগন্ত চাকমার বিরুদ্ধে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন জানান, নানিয়ারচর সেনা জোনের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে দীগন্ত চাকমা আটক করে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
