বাংলা খবর ডেস্ক: ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপি সমর্থিত পরাজিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়ালের করা মামলায় জবাব দাখিলের জন্য সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়েছে, ইহা একটি স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০১০ এর ৫৩ ধারা মোতাবেক আনীত নির্বাচনী মোকদ্দমা। অত্র মোকদ্দমার তায়দাদ ১ কোটি টাকা। বাদী পক্ষ ৩০০ টাকার কোর্ট ফিসহ চালান যোগে ১০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে দাখিল পূর্বক মূল চালানের কপি দাখিল করিয়াছে। বাদী পক্ষ রোজ তলব নামাসহ কাগজাদীর ফটোকপি দাখিল করিয়াছে। মোকদ্দমাটি আপাতত: গৃহীত হইল। আগামী ২ এপ্রিল সমন ফেরত ধার্যে উহা ইস্যু করা হউক।
এ বিষয়ে ওই আদালতের সেরেস্তাদার জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক সদরঘাট শাখায় জামানতের ১০ হাজার টাকা চালান দিয়ে তার মূল কপি আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
ইশরাক হোসেনের মামলায় যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং অফিসার, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, আখতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, আব্দুর রহমান, বাহরানে সুলতান বাহার, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আব্দুল সামাদ সুজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
তাবিথ আউয়ালের মামলায় যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যুগ্ম সচিব (জয়েন্ট সেক্রেটারি) মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ সাজেদুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী (বর্তমান মেয়র) আতিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির বাঘ প্রতীকের প্রার্থী শাহিন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকের শেখ মো. ফজলে বারী মাসুদ।
তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিত সাংবাদিকদের জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগ তুলে ধরে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন নির্বাচন ও নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন এবং নিয়মানুযায়ী শুনানির একটি দিন ধার্য করেছেন।