নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ২৫ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় মিল মালিক হাজী আব্দুর রহিমকে (৫২) আটক করা গেলেও অভিযানের খবর পেয়ে ডিলার সাইফুল ইসলাম রতন পালিয়ে যান।
ডুমরাকান্দা বাজারে শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালোনো হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়াইৎ ফেরদৌসীর উপস্থিতিতে আটক আব্দুর রহিমের মাহাতীর অটোরাইস মিল ও ডিলার সাইফুলের গুদাম সিলগালা করা হয়। অভিযান শেষে র্যাব বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর হাজী আব্দুর রহিমকে কুলিয়ারচর থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
তিনি আরও জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ডুমরাকান্দা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
এ সময় মাহাতীর অটোরাইস মিলের মালিক আব্দুর রহিমকে আটক করে র্যাব। তিনি নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার লোহজরিকান্দা গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে।
পরে আটক আব্দুর রহিমসহ তার ‘মাহতীর অটো রাইস মিলে’ গেলে সেখান থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ছাঁটাই করা ৬ বস্তা এবং একটি মুরগির খামার থেকে আরও ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করে। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৯টি খালি বস্তাও জব্দ করে র্যাব।
আটক আব্দুর রহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি কুলিয়ারচর উপজেলার ডুমরাকান্দা বাজারের সরকারি ১০ টাকা দামে গরিবদের মাঝে চাল বিক্রির ডিলার সাইফুল ইসলাম রতনের কাছ হতে চাল গুলো কেনন। তার মাহতীর অটো রাইস মিলে সেই চাল ছাঁটাই করে সরকারি সীলযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রি করেন।
আব্দুর রহিমের দেওয়া তথ্য মতে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ডুমরাকান্দা বাজারে ডিলার সাইফুল ইসলাম রতনের গোডাউনে অভিযান পরিচালানা করে খাদ্য অধিদপ্তরের আরও ৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় দুস্থ মাতার ১৩টি ভুয়া কার্ড। যেসব কার্ড ব্যবহার করে ডিলার রতন চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করতেন।
এ সময় চালসহ তার গোডাউন সিলগালার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়াইৎ ফেরদৌসী।
