বাংলাদেশের নাম ভাঙিয়ে যে সিনেমা সুপারহিট করা যায়, সেটা দেখলাম স্যাম হারগ্রেভের “এক্সট্র্যাকশন” ছবিতে। ঢাকা শহরকে ভয়ংকর অপরাধপ্রবণ জায়গা হিসেবে খুব বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও ঢাকা বলা হলেও শ্যুটিং হয়েছে কলকাতায়। ঢাকা শহর এত নোংরা নয়। রাস্তায় মানুষের চালচলনের সিকিভাগও বাংলাদেশের মানুষের মত ছিলো না। কলকাতার বাংলা ভাষীদের ঢাকার জনগোষ্ঠী বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে খুবই বিচ্ছিরিভাবে। বাংলাদেশের অলিগলি রাস্তাঘাট এত নোংরা জরাজীর্ণ নয়। এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকাতরে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমি অনেক চেষ্টা করেও ভালোলাগার কোন উপাদান খুঁজে পেলাম না। বাংলা ডায়লগ ডেলিভারি দেয়া হয়েছে কলকাতার একসেন্টে। রাস্তায় গলিতে দোকানে ঝুলানো কাত হয়ে পড়া সাইনবোর্ড এমনকি যানবাহনেও ভুল বানানে ভরা। যেমন, ট্যাক্সির গায়ে লেখা “আল্লাহ সার্ভসাক্তিমান”!
মারামারি বন্দুকবাজি আর বিশ্রি সব গালি খানকির বাচ্চা ……… বোকাচোদা এসব বিশ্রী গালাগালি কিশোরদের মুখে বাজে শোনা গেছে।
তবে বাংলাদেশকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে নির্মাতা কসুর করেননি। বোঝা গিয়েছে বাংলাদেশকে নিচু দেখানোর জন্য তারা খুব হোমওয়ার্ক করেছেন। ছবিটি দেখে বিরক্ত হলাম। বরং অপরাধের ধরণ বিচার করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের অবস্থান ভালো নয়। ছবিতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলাকে চরম অপমান করা হয়েছে।
আমাদের পুলিশ প্রশাসন অন্তত এভাবে বিক্রি হয়না, যেভাবে ছবিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
হলিউড ওয়ালারা বাংলাদেশকে হেয় করে ছবি বানালে কারা খুশি হবে এটা আমাদের অজানা নয়। মাফিয়া ডন ভারতে ভর্তি। দাউদ ইব্রাহিমের উত্তরসূরীরা আজও আছে। ছবিটি বাংলাদেশের বলে না চালিয়ে ভারতের প্রেক্ষাপট বলে চালিয়ে দিলে সোনায় সোহাগা হত।