বাংলা খবর ডেস্ক:
জেকেজির করোনার টেস্টের জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী এবং ডা. সাবরিনাসহ আট জনের বিচার শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী শুনানি নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের পর আগামী ২৭শে আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবরিনাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির সিদ্ধান্ত দেন।
এদিকে গত ৫ই আগস্ট ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, করোনা জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী। এ দুজন ছাড়াও মামলার অন্য ছয় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা। মামলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলা করার ৪২ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র দেয়া হয় । নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির ও তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরের দিন ২৪ জুন হুমায়ুন কবির ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবীর জেকেজি হেলথ কেয়ারে চাকরি করার সময় কীভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ এবং ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবির বলেন, করোনার নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দিতেন। এ ছাড়া শফিকুল ইসলামও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।