‘পরীক্ষা তো হবে না, হয়তো প্রমোশন দিতে হবে’

0
120
ফাইল ফটো

বাংলা খবর ডেস্ক:
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যা কিছু করছি সব তোমাদের জন‌্য, ভবিষ‌্যৎ প্রজন্মের জন‌্য। এখন করোনাকাল চলছে। তোমরা স্কুল করতে পারছ না। তারপরও বই আছে। তোমরা ভালো করে পড়াশোনা করো। পরীক্ষা তো হবে না, হয়তো প্রমোশন দিতে হবে। আমরা দেখছি কী করা যায়।’

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নোয়াখালীতে বিদ্যুতের উপকারভোগী এক ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা নেয়া হবে না। ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হলে তিনি তাতে সম্মতি দেন।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ বছর অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষাগুলো (জেএসসি-জেডিসি) নেয়া হবে কি হবে না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একই সঙ্গে, সিদ্ধান্ত হয়নি এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়েও।

আজ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার কারণে ছেলেমেয়েরা আজ স্কুলে যেতে পারছে না। এর ফলে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। (এখন) অনলাইনে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে টেলিভিশনে। তোমরা সেখানে মনোযোগ দেবে। করোনাকালে প্রচুর সময় পাচ্ছ। তোমাদের পড়ার সুযোগ হয়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারাবিশ্বেই এ অবস্থা।’

২০২১ সাল নাগাদ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো যাবে: প্রধানমন্ত্রী

ওদিকে আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরণে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ২০২১ সাল নাগাদ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো যাবে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুতের ব্যবহারকারী ছিল ৪৭ ভাগ, আজ ৯৭ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দিন যতই যাচ্ছে বিদ্যুতের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরি করেছি। ফলে গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না সেখানে আমরা সোলারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিশেষ করে চরাঞ্চলে সোলার ব্যবহার যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ সোলার দেয়া হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামের মানুষ যেন সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু শহরের মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিলে হবে না, গ্রামে এখন অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

বিদ্যুতের অপচয় রোধ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। এ সময় বিদ্যুৎ ব‌্যবহারে সতর্ক হওয়া ও অপচয় না করার আহ্বান জানান তিনি।

আজকের এই ৩১টি উপজেলায় উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here