বাংলা খবর ডেস্ক:
বরিশালে আটক চার শিশুকে তাদের অভিভাবকের নিকট পৌছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । আজ রাত ৯টায় বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী রোববার বরিশালের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ৪ শিশুর অভিভাবকসহ স্বশরীরে হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে আগামী রোববার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে ভিকটিম শিশুর ধর্ষণ সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাতের মধ্যে শিশুদেরকে তাদের পিতা-মাতার নিকট পৌঁছে কাল সকাল ১০টার মধ্যে ওসিকে টেলিফোনের মাধ্যমে কমপ্লাইন্স দিতে বলেছেন হাইকোর্ট ।
এরআগে ওই চার শিশুকে ধর্ষক আখ্যা দিয়ে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করে বরিশালের একটি আদালত। মামলার এজাহারে ওদের তিনজনের বয়স ১০ বছর, একজনের বয়স ১১। কিন্তু ওদের দাওদের বয়স ৭-৮ বছর। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এই চার নাবালক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আদালত তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই শিশুদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ওই ৪ শিশুকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়ার দাবি করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার বিকালে বাকেরগঞ্জ থানায় ৬ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলার সাথী। গত রোববার বিকালে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে আসামিরা ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে মামলার আসামি হিসেবে ৪ শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বুধবার বিকালে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক মো. এনায়েতউল্লাহ এক আদেশে আসামি ৪ শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার আসামিরা হলো-সাইদুল ইসলাম (১১), সোলায়মান ইসলাম তামিম (১০), হাফিজুল ইসলাম লাবিব (১০) এবং শাওন হাওলাদার (১০)। দৃশ্যত তাদের বয়স মামলায় উল্লেখিত বয়সের চেয়ে কম হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। অভিভাবকরাও দাবি করেছেন এদের বয়স ৭ থেকে ৮ বছর। সন্ধ্যায় আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় ওই ৪ শিশুর আহাজারিতে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে আদালতের আদেশ রক্ষায় পুলিশ তাদের প্রিজনভ্যানে নিয়ে যায়। এই মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ওই ৪ শিশুকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়ার দাবি করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।