চসিক নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ২

0
347

বাংলা খবর ডেস্ক:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নগরীর পাড়ারতলী ও আমতলা এলাকায় পৃথক সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তারই ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী নিজাম উদ্দীন মুন্না।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলা এলাকার ইউসুফ স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলম মিয়া নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত আলম মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রী এবং তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক।

এছাড়াও নগরীর পাহাড়তলী ও লালখান বাজার এলাকায় পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সকাল থেকেই এই দুই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পাশাপাশি হকস্টিক ও লাঠি হাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনার ঘটে। এ সময় কাচের বোতল ও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরে বিজিবি-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভোট দিয়ে জয় নিশ্চিত বললেন রেজাউল:


ছবি: সংগৃহীত

বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে চসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। বুধবার সকাল ৯টায় নগরীর বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট প্রদান করেন। ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিত বলে জানান রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ভোট কেন্দ্রে ঠিকমত এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেনি। নির্বাচনে জয়লাভ করবে কিভাবে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছে। তাতে জয় সুনিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছে।

বিএনপির এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়ার অভিযোগ শাহাদাতের


ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার সকালে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন শাহাদাত হোসেন। ভোট দেয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তিনি এ অভিযোগ করেন। শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সব এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে সকালে। আমি সকাল ৬টা থেকে মনিটরিং করছিলাম। ওভারঅল দেখলাম, বেশিরভাগ এজেন্টকে তারা মেরে বের করে দিয়েছে। এজেন্টদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা বললো, হ্যাঁ কার্ড-টার্ড ছিঁড়ে বের করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞেস করতে হবে, ধানের শীষের এজেন্ট নাই কেন? যদি একজন প্রার্থীর এজেন্ট না থাকে তাহলে উনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে, ওই প্রার্থীর এজেন্ট কোথায় গেল, এরা কোথায়? নির্বাচন কমিশনেরই একটি অংশ এজেন্ট। এটা দেখা তাদেরই দায়িত্ব।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানকে বিষয়টি জানালে তিনি দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে বলেন।
কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার তার কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে রয়েছেন।’

তিনি আর বলেন, ভোটে আমি শেষ পর্যন্ত থাকবো। তাদের ভোট ডাকাতির মুখোশ সারাবিশ্বকে জানাবো। প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here