কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে? : প্রধানমন্ত্রী

0
82

বাংলা খবর ডেস্ক:
কারও মৃত্যুকে ঘিরে সরকারবিরোধী অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা কাম্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা দেওয়াও সরকারের কাজ। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সমালোচনা যারা করছে, তারা সবকিছু কি অনুধাবন করছে? আজকের এই দিনে আমি অন্য কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলবো, কারো মৃত্যুই কাম্য নয়। তবে সেটাকে উদ্দেশ্য করে অশান্তিও কাম্য নয়। অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে?

এ সময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ তনয়া শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, আমি একজন নগণ্য সেবক মাত্র।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের ও এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি এমন এক সময়ে হয়েছে যখন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কৃতিত্ব সম্পূর্ণই দেশের নাগরিকদের।

প্রধানমন্ত্রী দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত সর্বস্তরের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান। নিজেকে দেশের একজন সেবক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দেশের একজন নগণ্য সেবকমাত্র। সব কৃতিত্ব দেশের মানুষের।’

দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বয়স ৭৫ বছর। সেই স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে। কে কি করতে পারে আমার জানা আছে।

ডিজিটাল আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেহেতু গড়ে তুলেছি, এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটা আমাদের পালন করতে হবে যাতে করে আমাদের শিশুরা বিপথগামী না হয়। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য। সেজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিচ্ছি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করেছে।

বিষয়টি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টি করাও উচিত নয়। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। সেরকম কিছু তো ঘটেনি। কেউ অসুস্থ হলে বা এই জিনিসটার কী করার আছে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে শেখ রেহানা

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

শনিবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকারপ্রধান। সেখানে তার পাশে বসেছেন ছোটবোন শেখ রেহানা।

সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে শেখ রেহানা উপস্থিত থাকেন না। তবে শনিবার জাতিকে সুখবর দিতে বড়বোন প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন শেখ রেহানা।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এই অর্জনকে দেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন-সিডিপি) চেয়ার টেফারি টেসফাসো শুক্রবার দিবাগত রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

নিয়ম অনুযায়ী তিন শর্ত পূরণ হলে এবং পরপর দুটি পর্যালোচনায় এ মানদণ্ড ধরে রাখাতে পারলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করে ইউএন-সিপিডি। তারমধ্যে ২০১৮ সাল থেকে তিনটি শর্তই পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ এবং এ মান ধরে রেখেছে। তিনটি শর্ত হলো- মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা নিচে আসতে হয়। বাংলাদেশ এসব শর্তও ২০১৮ থেকেই পূরণ করে আসছে। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭৫.৩ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে ২৫.২।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here