এরআগে গত নভেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদী বলেছিলেন, ‘যদি ভারত সরকার বৈধ পন্থায় জাকির নায়েককে হস্তান্তর করার অনুরোধ করে, আমরা তাকে ফিরিয়ে দেব। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এমন কোনও অনুরোধ আসেনি। জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য কোনো আবেদনও করেননি।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে এনআইএ দাবি করেছিল, জাকির নায়েক তার বক্তব্যে শিয়া, সুফি, হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের লোকদের অপমান করেন। এবং তিনি তার ভাষণে যুবকদের সন্ত্রাসবাদের উৎসাহিত করেন।
ভারতের সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে জাকির নায়েকের সংস্থা আইআরএফ এর ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং জাকির নায়েকের সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ঢাকার গুলশানে ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মাসখানেক আগে জাকির নায়েক ভারত ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা জাকির নায়েকের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ধারণা করা হয় তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়া রয়েছেন।