রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় ৭লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে সমালোচনার সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে অল্পকথায় সুচি বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় সংগ্রাম করছি, এজন্য ধরণের দেশের বাইরে থেকে এবং ভেতর থেকে একধরণের চাপ অনুভব করছি।’ এসময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সাধারণ জনগণকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
সু চি তার ভাষণে একটিবারের জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রসঙ্গ আনেননি। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে স্বাক্ষরিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি বিষয়ও কোনো মন্তব্য করেননি। তার এ দিক নির্দেশনাহীন ভাষণে জাতিগত সহিংসতায় জর্জরিত মিয়ানমারে আদৌ কোনো শান্তি বা সামাজিক সুশৃঙ্খলা আসবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সু চি বলেন, শান্তি এবং স্থায়িত্ব আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন। সেজন্যই আমাদের একতাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কয়েকদশক ধরে চলতে থাকা মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ থামানোই তার প্রথম পছন্দ এমনটিও বলেন তিনি।