![File photo of Nelson Mandela, accompanied by his wife Winnie, walking out of the Victor Verster prison, near Cape Town](http://banglakhobar.net/wp-content/uploads/2018/04/mandela.jpg)
![File photo of Nelson Mandela, accompanied by his wife Winnie, walking out of the Victor Verster prison, near Cape Town](http://banglakhobar.net/wp-content/uploads/2018/04/mandela.jpg)
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের সদস্যদের সাথে নেলসন ম্যান্ডেলার আপোষের কারণেই বিচ্ছেদ ঘটে নেলসন আর উইনি ম্যান্ডেলার! আর কেউ নয় এমনটা জানিয়েছিলেন উইনি নিজেই! মৃত্যুর আগে নিজের দেয়া শেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির মাতা।
উইনি ম্যান্ডেলা এমন একজন নারী ছিলেন যাকে প্রচ- নির্যাতন সইতে হয়েছে। একই সাথে সইতে হয়েছে নিস:ঙ্গ বন্দীত্ব এবং টানা নজরদারী। কিন্তু স্বামীর মুক্তির পর তাকেও সইতে হয়েছে নিরীহ মানুষদের উপর নির্যাতন করার গঞ্জনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বর্ণবাদী সরকারের সহযোগীদের ‘নেকলেকড’ করার। এটি ছিল নির্যাতনের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একজন মানুষকে নগ্ন করে তার গলায় পেট্রোলে ভেজা টায়ার পরিয়ে এরপর আগুন লাগিয়ে দেয়া হতো! উইনি একটি জনসভায় এটিকে সশস্ত্র শত্রুদের মোকাবেলায় একমাত্র অস্ত্র বলে উল্লেখ করেন। এরপরেই নেলসনের সাথে শুরু হয় তার সম্পর্কের টানাপোড়েন।
তবে দুজনের সম্পর্কের চরমতম অবনতি ঘটে নেলসন ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট হবার পর। বর্ণবাদী নেতাদের মুক্ত করায় এবং সাদা ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক পুন:সম্পর্ক স্থাপন করায় উইনি, নেলসন ম্যান্ডেলার উপর আরো বেশী ক্ষিপ্ত হন। নেলসনই একবার জানিয়েছিলেন, সেসময় নেলসন জেগে থাকলে উইনি তার শয়নকক্ষে পর্যন্ত যেতেন না।
আর নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট এফ ডাব্লিউ ডে ক্লার্ক এর সাথে নোবেল ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিলে তাদের সম্পর্কের সেখানেই মৃত্যু ঘটে। এবং উইনি, নেলসন ম্যান্ডেলাকে তালাক দেবার সিদ্ধান্ত নেন। – ডেইলি মেইল