কোরিয়া বিভক্তির ৭০ বছর পর এই প্রথমবারের মত মিলিত হলেন উত্তরের ফার্স্ট লেডি রি সোল জু এবং দক্ষিণের ফার্স্ট লেডি কিম জং সুক। পুরোটা সময়েই দু’জনেই ছিলেন হাসিখুশী এবং প্রাণবন্ত। এছাড়া ফ্যাশন এবং নিজস্ব স্টাইলের কারণে শুক্রবার মিডিয়ার নজর কেড়েছিলেন রি ও সুক।


রি পরেছিলেন পশ্চিমা ঢঙের পোশাক। গোলাপি স্কাটের সঙ্গে মিলিয়ে পড়েছিলেন তার প্রিয় ‘ডিওর’ ব্র্যান্ডের ব্যাগ। পানমুনজামে তাকে স্বাগত জানাতে যাওয়া সুক পরেছিলেন আকাশি রঙের পোশাক। তার কানে শোভা পাচ্ছিল একই রঙের দুল। রি’কে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পর নিজেদের মধ্যে পরিচয় পর্ব সারেন সুক।


সন্ধ্যায় নৈশভোজে তারা কিম জং উন ও মুন জে ইনের সঙ্গে যোগ দেন। এই সময় রি’কে সৌহার্দপূর্ণতার সঙ্গে স্বাগত জানান মুন। মুন রি কে বলেন, ‘এক দিনেই আমরা দৃঢ় বন্ধুত্বের সূচনা করেছি।’। উত্তরে রি বলেন, ‘সকালে কিমের কাছে শুনেছি এই সম্মেলন সফল হয়েছে। আমি আশা করি দুই কোরিয়ার নেতাই এই সফলতার ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’


এর আগে কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল তার শাসনামলে কোন স্ত্রীকে জনসম্মুখে আনেন নি। সম্প্রতি কিমের সঙ্গে চীন সফরের পর ৪০ বছর পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম ‘ফার্স্ট লেডি’ শব্দটি উল্লেখ করে। এর আগে রি’কে ‘কমরেড’, ‘সম্মানীত’ এবং ‘কিম জং উনের স্ত্রী’ বলে সম্বোধন করা হত।


দক্ষিণ কোরিয়ার ‘পুনএকত্রীকরণ মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৪ সালের পর এই প্রথমবারের মত উত্তর কোরিয়া ‘ফার্স্ট লেডি’ শব্দটি ব্যবহার করে।’ এর আগে সর্বশেষ কিম জং উনের দাদা কিম ইল সাং এর স্ত্রী কিম সং এয়ি কে ‘ফার্স্ট লেডি’র এর মর্যাদা দেয়া হয়েছিল।
তবে রি এর সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার বয়স, কিমের সঙ্গে বিয়ের দিন-ক্ষণ এখনো অজানা। কিমের সাথে বিয়ের আগে রি উত্তর কোরিয়ার জাতীয় ক্রীড়া দলের চিয়ারলিডার ছিলেন বলে জানা যায়। ব্যক্তিজীবনে রি কিম সুং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী। এছাড়া কণ্ঠসঙ্গীতে রয়েছে তার যথেষ্ট দখল। ডেইলি মেইল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here