সরকারের ঘাষিত বাজেট ‘অগ্রহণযোগ্য, গণবিরোধী, প্রতারণা ও দুর্নীতি সহায়ক একটি প্রামাণ্য দলিল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনমূখী বিশাল এই বাজেটে সরকারের অনেক দূরভিসন্ধি রয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকাস্থ দাউদকান্দি উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনমূখী ঋণনির্ভর এই বিশাল বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোনো পদক্ষেপ নেই। বাজেটে কোনো বিশেষত্ব নেই, ব্যাংক নৈরাজ্যের সমাধানের বক্তব্য নেই। অথচ করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ব্যাংক মালিকদের খুশি করা হয়েছে। ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়ে এবং করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে বিরাট বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে দরিদ্ররা আরও দরিদ্র এবং ধনীক শ্রেণি আরও ধনী হবে। সাধারণ মধ্যবিত্তরা নানামূখী প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়বে।’

‘আসলে এই বাজেট হচ্ছে, সরকারি দলের নেতা, ধনীক শ্রেণির স্বার্থরক্ষা ও লুটপাটের বাজেট। এ বাজেট গণবিরোধী, বাস্তবায়ন অযোগ্য ও দুর্নীতি সহায়ক একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে জনগণের কাছে বিবেচিত হবে।’

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক নেতা বলেন, ‘নির্বাচনমূখী বিশাল এই বাজেটে সরকারের অনেক দূরভিসন্ধি রয়েছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে পরিস্কারভাবে কিছু বলা হয়নি। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার জন্য কোনো বক্তব্য নেই। আছে শুধু কাব্যিক কথামালার ফুলঝুড়ি। বাজেটে দেশের কোনো উন্নয়ন হবে না। সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের উন্নয়ন হবে, দুর্নীতি ও লুটপাট বাড়বে। এই ধোঁকাবাজির বাজেট জনগণ প্রত্যাখান করেছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here