নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকা’র বাংলা মিডিয়া প্রকশানায় দিন দিন সঙ্কট
বাড়ছেই। বিজ্ঞাপন বাজারের চেয়ে মিডিয়ার সংখ্যা বেশী, ছাড়া খবর বৃদ্ধি আর আর্থিক
সীমাবদ্ধতার কারণে প্রবাসের বাংলা প্রকাশনায় নানা সমস্যা বাড়ছে। নানা সঙ্কটের কারণে
ইতিমধ্যেই দুটি মিডিয়ার প্রকাশনা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। চলমান
মিডিয়ার পাশাপাশি আরো একাধিক বাংলা মিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ চলছে এবং ওয়েব পোর্টাল
নিউজ পেপারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক থেকে সপ্তাহের সাত
দিনই নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। বর্তমানে প্রকাশিত সাপ্তাহিকের সংখ্যা প্রায় দুই ডজন। এরমধ্যে
একই দিন সর্বোচ্চ চারটি প্রকাশিত হচ্ছে। খবর ইউএনএ’র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস ধরে প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে সাপ্তাহিক প্রথম আলো
ইউএসএ, সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা, সাপ্তাহিক সন্ধান ও সাপ্তাহিক আওয়াজ। নিউইয়র্ক থেকে
বর্তমানে নিয়মিত বাংলা মিডিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাপ্তাহিক ঠিকানা, সাপ্তাহিক পরিচয়, সাপ্তাহিক
বাঙালী, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, সাপ্তাহিক দেশবাংলা, সাপ্তাহিক আজকাল, সাপ্তাহিক বাংলা
টাইমস, সাপ্তাহিক জন্মভূমি, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, সাপ্তাহিক বর্ণমালা, সাপ্তাহিক প্রবাস, সাপ্তাহিক
রানার, সাপ্তাহিক দেশকন্ঠ, সাপ্তহিক জনতার কন্ঠ, প্রথম আলো (উত্তর আমেরিকা সংস্করণ),
বাংলাদেশ প্রতিদিন (উত্তর আমেরিকা সংস্করণ) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ঠিকানা’র মূল্য এক ডলার, বাকী সবগুলো পাঠকদের জন্য ফ্রি।
জানা গেছে, সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা কর্তৃপক্ষ তাদের সাপ্তাহিক প্রকাশনার পরিবর্তে পাক্ষিক
‘পরিবর্তন’ নামে ম্যাগাজিন প্রকাশনা করছেন। সাপ্তাহিক আওয়াজ প্রকাশনার কয়েক সপ্তাহ পড়েই
পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে অনলাইন প্রকাশনায় চলে গেছে। অপরদিকে ‘বাংলাদেশ’ নামে একই
দিনে দু’জনের সম্পাদনায় দুটি সাপ্তাহিক প্রকাশিত হচ্ছে। যদিও ‘বাংলাদেশ’ নামের প্রকশানার
ব্যাপারে এক পক্ষের দায়েরকৃত একটি মামলায় উভয় পত্রিকা প্রকাশের ব্যাপারে সৃষ্ট আইনগত
সমস্যা আদালতে সমাধান হয়েছে।
নিউইয়র্কের একটি বাংলা সাপ্তাহিক-এর একজন সম্পাদক গত সপ্তাহে ইউএন প্রতিনিধি-কে বলেন,
নিউজপ্রিন্টের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অচিরেই পত্রিকা প্রকাশনার ছাপা মূল্য আরো বেড়ে যাবে। ফলে
অনেক পত্রিকা কর্তৃপক্ষকেই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে পারে বলে ঐ সম্পাদক আশংকা
করছেন।
এদিকে দিনে দিনে নিউইয়র্কে বাংলা প্রিন্ট সিডিয়ার সংখ্যা বাড়লেও হাতেগোনা কয়েকটি মিডিয়া
ছাড়া অধিকাংশ মিডিয়ায় পেশাদারিত্বের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এনিয়ে সচেতন প্রবাসী
বাংলাদেশীসহ মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষণীয়।