যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা খাসোগি রিয়াদের সমালোচক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন তিনি। ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনে প্রবেশ করার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
“আমরা এর আদ্যেপান্ত খুঁজে বের করবো এবং কঠোর শাস্তি হবে,” সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বলেছেন ট্রাম্প।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “এখনও কেউ জানে না, কিন্তু আমরা সম্ভবত খুঁজে বের করতে পারবো। যদি এটিই হয় তাহলে আমরা খুব মর্মাহত ও ক্রুদ্ধ হবো।”
খাসোগির ঘটনায় অনেক ঝুঁকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি; বলেছেন, ‘সম্ভবত বিশেষত এই কারণে’ যে তিনি একজন সাংবাদিক।খাসোগির অন্তর্ধানে ক্রুদ্ধ আইনপ্রণেতারা রিয়াদের সঙ্গে পরবর্তী অস্ত্র বিক্রির চুক্তি আটকে দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধান মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা।
কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সৌদি আরবের কাছে সামরাস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না। তাহলে সমরাস্ত্র বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও চীন সুযোগটির সদ্ব্যবহার করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
“আমি চাকরির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাই না। এই ধরনের একটি ক্রয়াদেশ হারাতে চাইনা আমি, আর আপনি জানেন, শাস্তি দেওয়ার অন্য আরও পথ আছে,” বলেছেন তিনি, তবে অন্য আর কী পথ আছে তা খোলসা করেননি।
তুরস্কের কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খাসোগিকে সৌদি কনসুলেটের ভিতরে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের করা প্রাথমিক তদন্তে বের হয়েছে।
কিন্তু তুরস্কের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।