যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধারণা, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি আর বেঁচে নেই।
খাসোগি নিহত হয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমার কাছে যা মনে হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সৌদি সাংবাদিকের।

তবে সৌদি আরব ও তুরস্কের তদন্তের ফল প্রকাশের আগে নিশ্চিত বক্তব্য দিতে চান না ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘তবে খাসোগির মৃত্যুতে সৌদি আরব যদি দায়ী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে কঠিন ফল ভোগ করতে হবে।’

কঠিন ফল কী হতে পারে—জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ হবে, খুবই খারাপ। দেখা যাক কী হয়!’

খাসোগি ইস্যুতে সৌদি রাজপরিবারের পক্ষেই যাচ্ছে ট্রাম্পের বক্তব্য এমন অভিযোগ ওঠে। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্লেষকদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

বিপুল পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহকারী সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। বলা হচ্ছে, এসব কারণে ট্রাম্প এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের পরও নমনীয় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বিয়ে-সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে যান জামাল খাসোগি। বাগদত্তা তুর্কি নারী হেতিজ জেঙ্গিসকে বাইরে রেখে কনস্যুলেটে প্রবেশের পর আর ফেরেননি খাসোগি।

এ নিয়ে তুরস্ক ও সৌদি সরকার একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। সৌদি আরব বলছে, কনস্যুলেট বেরিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন খাসোগি। অন্যদিকে তুরস্কের গোয়েন্দারা এ নিয়ে নানাবিধ তৎপরতা দেখিয়ে আসছেন।

তুরস্ক দাবি করেছে, সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যের একটি দল খাসোগি হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে তুরস্কে যায়। সেই দলে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞও ছিলেন। এর দায়িত্বে ছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ এক উচ্চপদস্থ সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here