বিপিএল আয়োজনে প্রশ্ন উঠেছে এলোমেলো ব্যবস্থাপনা নিয়ে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে টিভি সম্প্রচারের মান নিয়েও। মাঠে দর্শক উপস্থিতিও কম। ডিআরএস প্রযুক্তি নিয়েও সৃষ্টি হচ্ছে বিতর্ক। এসব সমস্যা স্বীকার করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে ভুল-ত্রুটি কাটিয়ে উঠে জমে উঠবে এবারের আসর।

অনেকটা নীরবেই শুরু হয়েছে বিপিএল, প্রচারণাও হয়নি এবার। প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময়ও পায়নি দলগুলো। যার প্রভাব পড়েছে মাঠে। মিরপুরে দর্শক আগ্রহে দেখা যাচ্ছে ভাটা। গভর্নিং কাউন্সিল বলছে, নির্বাচনের কারণে প্রত্যাশিতভাবে শুরু করা যায়নি বিপিএল ষষ্ট আসর।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, স্টেডিয়ামের লোকশূন্যতা দেখে হতাশ হওয়া যাবেনা। সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র দুইদিনের মধ্যে বিপিএল শুরু। আশা রাখি পরবর্তী সপ্তাহ থেকে আরও দর্শকে পরিপূর্ণ হবে বিপিএল। আমরা কুয়াশার কারণে খেলাটা এগিয়ে নিয়ে এসেছি, রাত আটটা নয়টার পর হলে দর্শক আরও কম হত।

এবার সম্প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে বিসিবি নিজেই। প্রশ্ন উঠেছে মান নিয়ে। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস নিয়েও তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। নেই স্নিকো মিটার ও আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আম্পায়ারদের। তবে গভর্নিং কাউন্সিল মনে করছে, প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহ থেকে থাকবেনা কোনো সমস্যা।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলেন, প্রোডাকশনে যা কিছু প্রয়োজন আছে আমরা সব নিয়ে আসছি। এত বড় সংগঠনে ছোটখাট ভুল থাকতে পারে, যা কিছু বাকি আছে তা দুই একদিনের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।

সরকারিভাবে পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার নাম। কিন্তু আগের নামেই আছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দু’টি। তাদের সরকারি নির্দেশনা মেনে উচিত বলে মনে করেন শেখ সোহেল।

মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের চাপ কমাতে দলগুলোকে নিজস্ব মাঠ তৈরির তাগিদ দিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। মাঠে দর্শক টানতে অনলাইনে আরো বেশি টিকিট ছাড়ার পরিকল্পনাও আছে কাউন্সিলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here