মনজুর আহমদ:
আমার আব্বা আমাকে বলেছিলেন, আমেরিকায় কেন যাবে? বলেছিলেন, এই বয়সে সেখানে গিয়ে কি করবে?
আব্বার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এই প্রথম আমার কোন সিদ্ধান্তে আব্বার আপত্তি। আমার জবাবের অপেক্ষা না করেই আব্বা তার ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন।
আব্বা কোনদিন আমার কোন কাজে বাধা দেননি। আমার ওপর সব সময় ছিল তার প্রবল আস্থা। আমেরিকা আসার আগে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের বাড়িতে গিয়েছিলাম আব্বার সাথে দেখা করতে। এই দেখাতেই আব্বা বলেছিলেন, আমেরিকা কেন যাবে? বুঝেছিলাম আমার আমেরিকা আসা আব্বার পছন্দ নয়। আব্বার পছন্দ নয় এমন কিছু আমি কখনও করিনি। কিন্তু এবার করলাম। আমেরিকা চলে এলাম।
আর এই দেখাই আব্বার সাথে আমার শেষ দেখা হয়ে রইল। ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি চলে গেলেন। আজ আমার আব্বা ডা. কে আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী। পুরোটা জীবন তিনি ঝিনাইদহে কাটিয়েছেন, ঝিনাইদহকে ভালবেসেছেন। ঝিনাইদহের মাটিতেই তিনি শায়িত হয়েছেন চিরশয্যায়। তিনি ছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান। ছিলেন ঝিনাইদহের মানুষের একান্ত প্রিয়জন। তার নামে স্থাপিত হয়েছে ঝিনাইদহের পৌর মিলনায়তন, নাম রাখা হয়েছে শহরের একটি রাস্তার। এই দূর প্রবাস থেকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ঝিনাইদহবাসীকে, পৌরসভাকে, বিশেষ করে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুকে, আব্বার প্রতি এমন শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য।