বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এ পর্যন্ত টোল আদায় বাবদ আদায় হয়েছে চার হাজার ৯৮৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সমাপ্ত এই সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয়ের থেকে এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা বেশি টোল আদায় হলেও ঋণ পরিশোধে আরও ১৬ বছর টোল আদায় করা হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সাংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, টোল বাবদ আদায়কৃত অর্থ হতে সেতুর রক্ষাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর এ সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ হতে গৃহীত ঋণ সেতু হতে আদায়কৃত টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।

সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন মহাসড়ক সংলগ্ন কিছু অব্যবহৃত ভূমি কতিপয় অসাধু ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে অবৈধ দখল হয়। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে প্রতিনিয়তই এ সকল অবৈধ দখলের বিষয়ে মনিটর করা হচ্ছে এবং অবৈধ স্থাপনাসমূহ অপসারণ কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’

সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মোটরযানের হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর হতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এর অথরিটি থেকেও হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া ফিটনেস প্রদানকালে বিআরটিএ কর্তৃক হাইড্রোলিক হর্ন খুলে রাখা হচ্ছে।’

সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, রাজধানীতে সিএনজি চালিত অনুমোদিত প্রাইভেট অটোরিকশার সংখ্যা ৪৩১টি। এ সকল অটোরিকশাসহ ক্রুটিপূর্ণ অন্যান্য যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সধারী এবং জরাজীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় ৪০ হাজার মামলায় ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা জরিমানা, ১৭৮টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ এবং ২৭৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here