মুক্তধারা আয়োজিত নিউইয়র্ক বইমেলা বর্জন

0
141

পপি চৌধুরী :
নিজের লেখা বই ছাপাতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে ২০০৫ সালে গড়ে তুলেছিলাম নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান “প্রীতম প্রকাশ”। ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় । প্রকাশনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকলেও একাকী নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসেছি ২০১৯ সাল পর্যন্ত । প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিনশ-র অধিক । নিজের প্রথম বই ছাপার তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে নতুনদেরকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করে এসেছি সবসময় । নতুনদের পাশাপাশি লেখক সেলিনা হোসেন, নির্মলেন্দু গুণ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ড. আশরাফ সিদ্দিকীর ন্যায় অনেক নামকরা লেখকের বইও প্রকাশিত হয়েছে আমার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে । প্রকাশকদের সংগঠন পুস্তক প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি- এই দুটি সংগঠনেরই সদস্য আমার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান “প্রীতম প্রকাশ” । বাংলাবাজারে নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে ক্রয় করা একটি দোকানও আছে । ২০০৮ সাল থেকে নিউইয়র্কে মুক্তধারা আয়োজিত বইমেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে প্রীতম প্রকাশ (কেবলমাত্র ২০১৮ ব্যতীত)।

তবে যতবার আমি নিজে সশরীরে নিউইয়র্ক বইমেলায় অংশ নিয়েছি প্রতিবারই একজন নারী প্রকাশক হিসেবে আমার প্রতি তাদের বৈষম্যমূলক আচরণ লক্ষ্য করেছি । এর পূর্বে ২০১৫ সালে মেলার ২য় দিনে সকাল বেলা লেখক-প্রকাশকদের একটি আড্ডা ছিল । বইয়ের দোকান ঢেকে রেখে সেখানে সবার অংশগ্রহণ ছিল বাধ্যতামূলক । তাই আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম একমাত্র নারী প্রকাশক হিসেবে । উক্ত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছিলেন প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশের একজন পরিচিত ছড়াকার । তিনি উপস্থিত সকল পুরুষ প্রকাশকদের ২/৩ বার করে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিলেও আমি কিছু বলার জন্য বেশ কয়েকবার হাত তুললেও তিনি আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেননি । তা লক্ষ্য করে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার তাকে বলেন মাইক্রোফোনটি আমাকে দেয়ার জন্য, কিন্তু তারপরও ঐ ছড়াকার আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেননি । তার সাথে আমার কখনও কোন বিরোধ ছিল না, বরং তিনি আমাকে একজন প্রকাশক হিসেবে ভালো করেই চিনতেন । তার এই আচরণে সেদিন আমি কষ্ট পেয়েছিলাম এবং অনুষ্ঠান শেষে আমি তার এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম । তাদের এই বৈষম্যমূলক আচরণের পরও বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছি শুধুমাত্র বইয়ের প্রতি ভালোবাসার টানে । তবে এরপর মঞ্চ কিংবা আলোচনা সভা এড়িয়ে চলেছি সবসময় ।

এবারও আমার সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে । মেলার ৩য় দিন দুপুর বেলা মেলা কমিটির দুজন এসে আমার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিক জেনে নিয়ে গেলেন । সারাদিন বই নিয়ে তীর্থের কাকের মত বসে থাকলেও সন্ধ্যা সাতটার দিকে যখন মেলাস্থানটিতে কিছু দর্শক সমাগম হয়েছে ঠিক তখনই মেলা কমিটির একজন সব প্রকাশককে ডাকতে এলেন উপরে যাওয়ার জন্য । কারণ এবার মেলায় আগত প্রকাশকদের মধ্য থেকে একজনকে পুরস্কৃত করা হবে । না গেলেও একটু পরে আবারও মেলা কমিটি থেকে আরেকজন ডাকতে আসেন এবং বলেন মাত্র ১০ মিনিটের জন্য সকল প্রকাশককে উপরে যেতে হবে । এরপর অনেকটা বাধ্য হয়ে আমার পাশের স্টল অন্বয় প্রকাশের ঢালি ভাইসহ উপরে যাই ।
এরপর এক এক করে সকল প্রকাশক এবং তাদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে তাদের মঞ্চে ডাকেন নিউ ইয়র্কের পরিচিত লেখক হাসান ফেরদৌস । সেখানে প্রতিষ্ঠিত প্রকাশকদের পাশাপাশি এমন অনেক প্রকাশকও ছিলেন যাদের প্রকাশনার বয়স এখনও দুবছর হয়নি । তাদেরকে মঞ্চে ডাকা হলেও একটিবারও আমার নাম কিংবা আমার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া হয়নি । দর্শকসারীতে অনেক নামকরা সাংবাদিক, পত্রিকার সম্পাদক এবং একসময়ের প্রতিষ্ঠিত নারী-সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন যারা দীর্ঘদিন থেকে আমাকে প্রকাশক হিসেবে চিনেন তারাও এ বিষয়ে কিছু বললেন না । বিষয়টি আমাকে খুবই মর্মাহত করে ।

যখন মঞ্চের কাজ শেষে সকলে মঞ্চ থেকে নামতে যাবেন তখন এগিয়ে যাই মঞ্চের দিকে । এক মিনিট কথা বলার সুযোগ চাই আমি । অনুষ্ঠানের উপস্থাপক লেখক হাসান ফেরদৌস বার বার বলতে থাকেন- “না না আপনি এভাবে মঞ্চে আসতে পারেন না… এভাবে কিছু বলতে পারেন না।” আমি বুঝে যাই, ওনারা আমাকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না । তখন আমি প্রতিবাদ জানিয়ে বলি, “আপনারা অন্য প্রকাশকদের সাথে আমাকে নীচে থেকে উপরে ডেকে এনেছেন, সকল প্রকাশককে মঞ্চে ডেকেছেন অথচ একটিবার আমার নাম বা আমার প্রকাশনার নামটি উচ্চারণ করার প্রয়োজন মনে করলেন না, সেকী আমি নারী বলে? আপনারা আমাকে একজন প্রকাশক হিসেবে উপযুক্ত সম্মান দিলেন না তাই আজ থেকে এই বইমেলা বর্জন করলাম আমি ।”

এরপর আমি নীচে এসে এই বইমেলার মূল আয়োজক মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহাকে বলি, “দাদা, আপনি যদি আমাকে প্রকাশকই মনে না করেন তাহলে আর কখনও আমায় ডাকবেন না বইমেলায় অংশ নিতে ।” তারপর আমি চলে যাই আমার স্টল গোটাতে । একটু পরে বিশ্বজিত সাহা এসে রাগত ভাবে ধমকের সুরে বার বার বলতে থাকেন- “আপনি কাজটি ঠিক করেন নি এভাবে ওখানে (উপরে) কথা বলে ।” আমি বলি- “আপনারা আমাকে ডেকে নিয়ে একজন নারী হিসেবে বৈষম্যমূলক আচরণ করবেন আর আমি তার প্রতিবাদ করায় এখন বলছেন আমি অন্যায় করেছি !” আমার একথার জবাবে বিশ্বজিত সাহা যে কথাটি বলেন তা শুনে আমি বিস্মিত হয়ে যাই । তিনি অসৌজন্যমূলক ভাবে বলেন “আপনি নারী নিয়ে ব্যবসা করবেন না ।”

বিশ্বজিত সাহা সবসময় প্রচার করে বেড়ান যে প্রবাসে তিনি দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করছেন । আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, যে মানুষ বা যে সংগঠনটি একজন নারীকে সঠিক সম্মান দিতে জানেন না সে কিভাবে দেশের সংস্কৃতি প্রবাসে তুলে ধরার প্রতিনিধিত্ব করেন!
এবার তার আরো কিছু বৈষম্যমূলক আচরণের কথা আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই:
বাংলাদেশ থেকে যে সকল প্রকাশক এবার বইমেলায় অংশ নিতে এসেছেন তাদের জন্য স্টল ফ্রি হলেও আমার কাছে ৫০০ ডলার স্টল ভাড়া চাওয়া হয়, বলা হয় আমি যেহেতু নিউ ইয়র্কে থাকি তাই আমাকে এই ভাড়া দিতে হবে । অথচ আমার প্রকাশনাটি বাংলাদেশে অবস্থিত, সেখানে আমার নিজস্ব একটি দোকান আছে এবং একজন কর্মচারীও আছে । এই বইমেলা উপলক্ষ্যে ৬০ কেজি বই আনতে বিশ্বজিত সাহাকে দিতে হয়েছে ২১৫ ডলার । অনেক বাদ-প্রতিবাদের পর ১০০ ডলার ডোনেশন দেয়ার বিনিময়ে আমাকে স্টল দেয়া হয় । এদেশে নির্ধারিত ছুটি ছাড়া ছুটি নিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়, তারপরও বইমেলায় অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়েছিলাম । কিন্তু আমার বইয়ের স্টলটি দেয়া হয়েছিল একেবারে শেষপ্রান্তে শাড়ি-কাপড়ের দোকান ঘেষে । মেলা কমিটির এসকল আচরণ আমাকে বিব্রত ও মর্মাহত করেছে । আমার প্রতি করা তাদের সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ততক্ষনাৎ আমি এই মেলা বর্জন করে মেলাস্থল থেকে আমার প্রকাশনার স্টলটি গুটিয়ে নিয়ে চলে আসি।

ফেইসবুকে পপি চৌধুরী’র এ পোস্ট এর ওপর বিভিন্ন ব্যক্তি ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত যে মন্তব্য করেছেন তা তুলে ধরা হলো:

Mina Mushrafi বাংলাদেশে প্রকাশক হিসাবে আপনার প্রকাশনা অনন্য … বই প্রীতি ও অকৃত্রিম নিষ্ঠা দায়িত্বশীলতা আপনাকে একাকী নানা প্রতিকুল পথ অতিক্রম করে অনেক দুর এগিয়ে নিয়েছে … আপনি সফল একজন নারী। যা আপনার কর্মযজ্ঞে প্রমানিত …।বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি বৈষম্য আচরন পুরুষদের হীনমন্যতাই প্রমান করে…. আপনি দৃঢ প্রত্যয়ে এগিয়ে চলতে থাকুন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও কাছে নত হওয়া সততার কাজ নয় ।সাহসী পদক্ষেপে সত্য ও চলবেন মানুষের দোয়া ও আল্লাহ আপনার শ্রেষ্ট ভরসা।

Sufia Begum আপনি একদম ঠিক কাজটি করেছেন। বইয়ের লেখক প্রকাশক সাংবাদিক মানেই সুশীল শ্রেণি, এমনটাই আমরা জানি। তাদের এ ধরনের ব্যবহার যথেষ্ট নিন্দনীয়। একজন নারীকে সম্মান জানানো মহত্তের পরিচয় । সেটা তাদের নেই। তাই বলে ডেকে নিয়ে অসম্মান করার অধিকার তো তাদের নেই। আর বিশ্বজিত সাহার কথার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। আমার মনে হয় সুস্থ বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষের উচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। পপি আপা, আপনাকে আমি সহানুভূতি জানাচ্ছি না, বরং আপনার প্রতিবাদী সত্তাকে সম্মান জানাচ্ছি। এগিয়ে যান, জয় আপনার হবেই।

Md Mehabub Alam বিশ্বজিৎ সাহার সম্পর্কে শুনেছি, একটা ভন্ড প্রতারক মানুষ। চুরি চামারি, মিথ্যের বেসাতি করেন এই সাহা!!!
আপনি সঠিক কাজ করেছেন।
স্যালুট আপনাকে।
ধিক্কার জানাই বিকৃত মস্তিষ্কের বিশ্বজিৎ সাহা কে!!

Syed Fazlur Rahman বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতি এখানে পুরোমাত্রায় আছে । তাই এসব চলছে।

Munawar Sultana প্রতিবাদী হয়ে সঠিক কাজ করেছেন পপি।অবাক লাগে ওখানেও এহেন ঘৃন্য পলিটিক্স হলো। নিন্দা জানাই

Ahmed Zohur মর্মাহত হলাম। এহেন বৈষম্যমূলক আচরণ কোনমতেই গ্রহণীয় নয়। আয়োজকদের কাছ থেকে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবী করছি।…
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা…

Afruza Parvin
Afruza Parvin নির্লজ্জ, স্বার্থপর , সুযোগ সন্ধানী এক পেশে,, আয়োজনকারীদের প্রতি,,, ঘৃনা পোষন করছি,,।

Angshuman Pratyush ঘটনাটি মর্মাহত করলো।

Stalin Uzzal এই কুরুচিপূর্ণ অসভ্য শুয়োর গুলোর থেকে দূরে থাকুন। প্রতিভা যখন আছে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। শিল্প সাংস্কৃতিক জগতে মুখোশ ধারী শয়তান গুলো লুকিয়ে থাকে। এরা মূলত শিল্প সাহিত্যের জন্য নিরবঘাতক।

Linda Amin পপি চৌধুরী একটি প্রিয় মুখ,যে জীবনে অনেক সংগ্রাম করে এতদুর এসেছে,তাকে আমাদের স্যালুট জানানো দরকার। আমি মর্মাহত, এমন আচরনের প্রতিবাদ করছি। এই জাতি এতো পিছিয়ে থাকার মূল কারন,কারো ভালো কেউ দেখতে পারেনা।হিংসা এদের মূলমন্ত্র।আর নারী হলেতো কথাই নেই। কিভাবে তাকে টেনে হিচড়ে নামাবে সেই পরিকল্পনা করে তা যতই অমানবিক হোক।

Abdul Karim পপি আপা আপনি ঠিক কাজটি করেছেন। আপনার প্রতিবাদী কন।ঠকে স্বাগত জানাই।

Alamgir Hossain আপনি প্রকাশক, লেখক এবং সম্পাদক । আপনাকে সন্মান না করলে! ওরা কাকে সন্মান করে?

Prodipkanchan Chowdhury একজন প্রতিষ্ঠিত প্রকাশকের সাথে এমন অমর্যাদাকর আচরণ, উপরন্তু একজন নারীর সাথে অন্যায় আচরণ যারা করলো তারা কিভাবে মাতৃভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির আয়োজন করেন? অনতিবিলম্বে তাদের এই গর্হিত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত । অন্যথায় বিশ্ব নারী সমাজের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত আশা করবো।

Mitali Hossain পপি তোমাকে ধন্যবাদ সাহস করে মেলা বর্জন
করার জন্য।

Shahida Milki অবশ্যই আপনি সঠিক কাজটিই করেছেন । আমার জানা মতে অনেক লড়াইয়ের পর আজ আপনি একজন সফল প্রকাশক ।
আয়োজকদের এরকম বিমাতৃসুলভ আচরণ নিন্দনীয় ।ডেকে নিয়ে কেন তারা অসম্মান করলেন ।
তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন কেন তারা এমনটা করলেন । তিনি কি একজন “নারী” প্রকাশক জন্য তাদের এত গাত্রদাহ ।না কি আরো কোন শ্রীকাতরতা ??

SK Ali জানোয়ার বিশ্বজিতকে চিনি ঐ সালা শুধু দালালী করে ওর চেহারা অমানুষের মত ।ঘৃনা জানাই বই মেলার কিছু ঘৃনিত দালালদের ।

Hasnat Abdul Hye নিন্দনীয়।

Anwara Azad প্র‌তিবাদ ক‌রে তু‌মি ঠিক কাজ‌টিই ক‌রেছ প‌পি। পুরুষ কখ‌নোই নারীর সাফল্য‌ মে‌নে নি‌তে চায়না, মা‌ঝে মা‌ঝে শুধু মে‌নে নেয়ার ভড়ং ক‌রে। এতো‌দি‌নেও বো‌ঝো‌নি?

Ashish Choudhury তীব্র প্রতিবাদ জানাই “””

S CH Sinha বড় অন্যায় প্রতিবাদ জানাই

Mohammad Abid Reza নিউইয়র্কের মোড়লরা বিষয়টি গুরত্ব দেননি| বিনিময়ে পাওনা শোধ করেছেন|
আপনাকে ধন্যবাদ|

Mohammad Nurul Huda সৃষ্টিশীলতার লড়াইয়ে যে প্রকৃত সৃষ্টিশীল সেই টিকে থাকবে। এখানে নারী বলে কাউকে অগ্রাহ্য করা মানে মানুষেরই অমার্যাদা খরা। আজকের ভোগবাদী বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মানবিকতা বিলুপ্ত।

Afia Laila এমন আচরণ শিক্ষিত সমাজে. বিশেষ করে সাহিত্যিক গুণী সমাজের কাছে মোটেও কাম্য নয় …

Rokshana Shathi ধন্যি মেয়ে তুমি।
জয় কর বিশ্ব দেউল।

Razia Nazmi বই মেলার জন্যে আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকি । আর তাই খারাপ লাগে যখন এমন কিছু দেখতে হয় , শুনতে হয় । তবু আমি অবাক হই না -বৈষম্য কাম্য না হলেও – বৈষম্যই যে প্রতি নিয়তই হচ্ছে ।

Moinuddin Shamim আপনি এগিয়ে যান, এসব কিছু অতিক্রম করে একসময় হয়তো আপনি এবং আপনার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই হবে সবার সেরা। আপনার প্রতি এমন আচরণের নিন্দা জানাই, কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই।

Al-Mamun UP Thanks a lot for your step.

Shah Alam Dulal বই মেলা কেন্দ্রিক কিছু মানুষের ঔদ্ধত্য দিনে দিনে ইতরপ্রাণীর মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য জ্বী হুজুর জ্বী হুজুর পরিমন্ডলই দায়ী।

Nasrin Chowdhury নারীদের এগিযে যাওয়ার পথে যুগে যুগে বাধার প্রাচির
তবুও এগিযে যেতেই হবে।

Lubna Kaijar এমনটা হওয়া উচিৎ নয় ।
সবার প্রতি সম্মান রাখতে হবে ।

Shah Alam Dulal জবাব দিয়েছেন

Ashrafuz Zaman I am sorry to hear that.You should go to human right court in New York and show them what is the human right for women?
Hide or report this

Ashrafuz Zaman They violate the legal human right and they did discrimination to you.
Hide or report this

Ashrafuz Zaman They violate the legal human right and they did discrimination to you.

Sumona Sarkar পপি আপা বলার কিছু নেই৷তবে মুখ বুজে না থেকে আপনি প্রতিবাদ করে সঠিক করেছেন৷আপনার সততা,সাহস কখনো আপনাকে বিমুখ করবে না ৷
Hide or report this

ফজলুর রহমান বকুল এমনটি কখনোই কাম্য নয়।

Negar Banu এমন আচরণ মানা যায় না
তীব্র প্রতিবাদ জানাই

Akhtar Ahmed Rasha এ ভীষন অন্যায় আচরণ। তবে কে এর প্রতিবাদ করবে? আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন সেটা জেনে কষ্ট পেলাম।
Hide or report this

Nahar Farid Khan বৈষম্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।নারীকে মানুষ ভেবে তার কাজকে মূল্যায়ন করা উচিত।

Susmita Debnath Sorry to hear that. You should do something.

Shemu Afroza প্রতিবাদ জানাই , খুবই মর্মাহত হলাম।

Najmul Ahsan নিউইয়র্ক বইমেলা নিয়ে পপি চৌধুরীর ক্ষোভ সঙ্গত কারণে মেনে নিতে পারলেও ফেসবুকে তার মন্তব্য
‘আদম আমদানির এ খবর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল কবি, ছড়াকার সাহিত্যিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিকরা সকলেই জানেন। কিন্তু সবাই নিজেদের স্বার্থে চুপ থাকেন। দু’চারটি বই বিক্রির আশায় লেখকরা মুখ কুলুপ লাগালেও স্থানীয় পত্রপত্রিকার সম্পাদক/ সাংবাদিকরা কেউ মুখ খোলেন না বইমেলার একটি বিজ্ঞাপন পাওয়ার আশায়।’টির সাথে কোনোভাবে একমত তো হতে পারছিনা বরং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি | আমি যতদুর জানি
পপি চৌধুরী ‘নারী’ নাম একটি ম্যাগাজিন বের করেন এবং সাহবাদিক পরিচয়ে তিনি নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাংবাদিক সম্নেলনে গিয়ে তার দাবি অনুযায়ী ‘নারী’ সাংবাদিকের কোটায় প্রশ্ন করেছিলেন | যথাযথ তত্থ-উপাত্ত ও ডকুমেন্টেড প্রমান ছাড়া তথাকতিত ‘আদম ব্যবসার খবর ছাপানো কোনো দায়িত্বশীল সম্পাদকের কাজ হতে পারেনা – এটা কি ‘সাংবাদিক-লেখক-প্রকাশক-একটিভিস্ট পপি চৌধুরী
জানেন না | আরো বলতে চাই, তিনি তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন ২০০৯ সাল তিনি বইমেলায় অংশ নিচ্ছেন | তাহলে গত ১০ বছরে বইমেলায় ‘আদম ব্যবসার’ খবর তার নিজের সম্পাদিত ‘নারী ম্যাগাজিনে ছাপালেন না কেন? নিজে ম্যাগাজিনের সম্পাদক হয়ে যে খবর ছাপাতে পারেন না, সে খবর নিয়ে অন্য পত্র-পত্রিকাকে দোষারোপ করা শুধু অন্যায় নয়, অনৈতিকও বটে|

Popy Chowdhury @ Najmul Ahsan: “আদম আমদানির এ খবর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল কবি, ছড়াকার সাহিত্যিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিকরা সকলেই জানেন। কিন্তু সবাই নিজেদের স্বার্থে চুপ থাকেন। দু’চারটি বই বিক্রির আশায় লেখকরা মুখ কুলুপ লাগালেও স্থানীয় পত্রপত্রিকার সম্পাদক/ সাংবাদিকরা কেউ মুখ খোলেন না বইমেলার একটি বিজ্ঞাপন পাওয়ার আশায়।” – আপনার এ কথাগুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উপরে ফেসবুকের পাতায় কোথাও আমি এ কথাগুলি লিখিনি। প্লীজ, আমাকে নিয়ে নতুন কোন গুটি চালবেন না কিংবা বাধ্য করবেন না আইনের আশ্রয় নিতে ।
আমার সাথে বইমেলায় যে বৈষম্য মূলক আচরণ করা হয়েছে শুধুাত্র তার প্রতিবাদ জানাতে গতকাল ফেসবুকে আমি আমার কথাগুলি লিখেছি। আমার ধারণা, আমার প্রতিবাদের নিউজটি কোন পত্রিকায় ছাপা হবে না। কারণ গতকাল ঘটনাস্থলে অনেকে সাংবাদিক উপস্থিত থাকলেও মেলা কমিটির ঐ অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করেন নি কেউ। এমনকি কোন নারীও না।
তবে আমার কলমই একদিন ইতিহাসের কাছে প্রমাণ রেখে যাবে মুখোশধারী মহান মানুষ নামের কিছু নিকৃষ্ট মানুষের আসল চেহারা।
আর একটি কথা, নারী পত্রিকা কেবল মাত্র নারী বিষয়ক লেখা প্রকাশ করে। তাই বিশ্বজিত আদম ব্যবসায়ী কিনা তা দেখার দায়িত্ব আপনারা যারা নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকা প্রকাশ করছেন তাদের, নারী পত্রিকার নয়।

Sharif Masum দুঃখজনক। প্রতিবাদ জানাই।

Zinat Rahman এটা হতে দেয়া যাবে না কেন বৈসমো,আমরা তার প্রতিবাদ জানাই,,

Popy Chowdhury আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য। সেই সাথে অনুরোধ করছি, আপনারা যদি সত্যিই আমার প্রতি করা এই অন্যায়ে কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আমার উপরের পোস্টটি শেয়ার করুন সকলে। মুখোশধারী কিছু লেখক, কিছু ভন্ড দেশপ্রেমিকের মুখোশটি খুলে যাক সবার সামনে, যাতে আর কোন নারীকে এভাবে অপমান করার সাহস না পায় এরা আর কখনও ।

Vaila Salina আপু কাল বার বার জিজ্ঞেস করছিলাম কি হয়েছে? বললেন না তখন। বললে হয়ত তখনই প্রতিবাদ দানাতে পারতাম আমরা আপু। খুবই দু:খজনক ব্যপার। এর প্রতিকার হওয়া উচিত। আপু পাশে আছি।

Shudhangsu Biswas খুব দুঃখজনক, বাঙালী যেখানেই যাক তারা বাঙ্গালই থাকে মানুষ হয় না(সবাই না)

Mokhdum Azam Mushrafi আপা, নারী বলে আত্মগঞ্জনা আপনাকে মানাবে কি?
একটি নিপুন, কুশলী ও প্রত্যয়ী প্রকাশনা দিয়ে আপনার পারঙ্গম আর সুঠাম প্রমান করেছেন।
দেশের প্রশাসনে নারীরা সে প্রমান রেখে চলেছে। আপনি কি মনে করেন না একজন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এম পি আরেকজন নারী কোটার এমপির চেয়ে অনেক সাচ্চা ও প্রবল এমপি? যিনি তার এলাকার নারী ও পুরুষ উভয়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি?…আরও দেখুন

Prosperina Sarker কতিপয় কিছু পুরুষ আছে যতই শিক্ষিত হোক পুরুষই থেকে যায়। তাই নারিদেরকে মানুষ ভাবতে বুক জালা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here