জাহাঙ্গীরের আস্তানায় সিসিক বুলডোজারের হানা

0
69

একটি নাম হাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সিলেটে কাজিরবাজার এলাকায় তার বিশাল মাছের আড়ৎ, পাশাপাশি জুয়ার জন্য বিখ্যাত শিলং তীর। এবার তার আস্তানার একাংশ গুড়িয়ে দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) বুলডোজার। সুরমার তীর দখল করে জাহাঙ্গীরের নির্মিত ১০/১২টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অবশ্য শুধু জাহাঙ্গীরই নয়, রবিবারের অভিযানে তোপখানা ও কাজিরবাজার এলাকায় সুরমার তীর দখল করে নির্মিত প্রায় ৭০/৮০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।

তবে কাজিরবাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে উৎফুল্ল স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের মতে, অবৈধভাবে যত স্থাপনা আছে তা উচ্ছেদ করা হলে তারা নিজনিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করবেন। কাজিরবাজারের মাছ বাজারের অধিকাংশই ছিল অবৈধভাবে নদীর তীর দখল করে নির্মিত। নির্মাতারা সবাই প্রভাবশালী। এরমধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তার মালিকানাধীন মূল আড়তের বাইরে প্রচুর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি চলছে শিলং তীর জুয়া। কয়েকদিন আগে তার জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ২২ জুয়াড়িকে আটক করেছিল পুলিশ। সেই অভিযানের পরও তীর জুয়া বন্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।

শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গীর কয়েকবছর আগে কৌশলে গণ-শৌচাগারের নামে সুরম্য বিশ্রামাগার তৈরি করেছিলেন। নিচে শৌচাগার, উপরে বিলাসবহুল বিশ্রামাগার। তবে তার উচ্চাভিলাষ শুরুতেই ধ্বংস করে দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে রবিবারের উচ্ছেদ অভিযানেহ পর বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও স্বস্তি নেমে এসেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অবৈধভাবে নদীর তীর দখল করে টাকা বানানোর মেশিনে পরিণত হয়েছে এই এলাকা।

কাজিরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল হক জাহাঙ্গীর উচ্ছেদ অভিযান তিনি বলেন, আমরা অবৈধ দখলদারির বিপক্ষে। সিটি কর্পোরেশনের অভিযানে আমরা অসন্তুষ্ট নই। এখন পর্যন্ত বৈধভাবে নির্মিত কোন স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযোগ বা দাবি আমাদের কাছে আসেনি।

আরও অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেগুলো অবৈধ সেগুলো উচ্ছেদ হলে আমাদের কোন আপত্তি নেই, থাকবেওনা।

তিনি আরও জানান, কাজিরবাজার মসজিদের অংশবিশেষও অবৈধভাবে নদীর তীর দখল করে নির্মিত বলে সিসিক জানিয়েছে। তারা তাও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। এদিকে শেখঘাট এলাকার অবৈধ স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খ্রিস্টফার হিমেল রিছিল।

অভিযান চলাকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সুরমার তীর সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করা হবে। নগরীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে কোন অবৈধ স্থাপনা রাখা হবে না।

উল্লেখ্য, এই অভিযানের ব্যাপারে কয়েকদিন আগে দখলদারদের কাছে স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দিয়েছিল সিসিক। তারপর মাইকেও প্রচারণা চালানো হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here