বাংলা খবর ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি এলাকার মলি মিয়ার সঙ্গে আট মাস আগে মেয়েটির (১৯) বিয়ে দেয় পরিবার। বিয়ের একমাস পর মেয়েটি জানতে পারেন স্বামী মাদকাসক্ত। পরে তিনি তার বাবাকে ঘটনা জানালে তাকে বাড়িতে আনা হয়। বাবার বাসায় থাকা অবস্হায় তিন মাস আগে তার মোবাইলে রং নাম্বার থেকে ফোন আসে। পরিচয় হয় আপন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকরে সঙ্গে। তারপর ফেসবুকে ম্যাসেজ আদান- প্রদান ও মোবাইল ফোনের আলাপনে আপন মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে তারা শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিক আপন মিয়ার বিয়ের আশ্বাসে স্বামীকেও তালাক দিয়েছেন ওই তরুণী।
প্রেমিক আপন মিয়া হঠাত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় গত শনিবার ভৈরব থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রেমিক আপন মিয়া পেশায় একজন ট্রাকচালক। তিনি ভৈরব উপজেলার পানাউল্লার চর গ্রামে পরিবারের সাথে বসবাস করেন।
ওই তরুণী জানান, আপন মিয়া তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় কয়েকদিন আগে তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর আপন মিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তার বাড়িতে গেলে তার মা-বাবা গালিগালাজ করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনা শুনে নিজের মা-বাবাও মেয়েকে গালমন্দ করেন। নিরুপায় হয়ে গত শনিবার রাতে তিনি ভৈরব থানায় অভিযোগ দেন।
তিনি বলেন, আপন মিয়া আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করেছে। এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্ত করতে থানার ওসি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই আমি আপন মিয়ার বাড়িতে গিয়েছি কিন্তু তাকে পায়নি। ঘটনাটি উভয় পরিবারকে আমি জানিয়েছি। তারা নিজেরা বিষয়টি মীমাংসা করে নিলে ভালো হয়। অভিযুক্ত আপন মিয়ার পরিবার বিষয়টি মীমাংসা না করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।