পৃথিবীর কোনো শক্তিই চীনের ভিত নাড়াতে পারবে না : শি জিনপিং

0
88

বাংলা খবর ডেস্ক: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, পৃথিবীর কোনো শক্তিই চীনকে নাড়িয়ে দিতে পারবে না। এমন কোনো শক্তি নেই, যারা মহান এই জাতির ভিত নাড়াতে পারে। মঙ্গলবার চীনে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তির দিনে বেইজিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। দেশটিতে কমিউনিস্ট শাসনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ব্যাপক সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে বেইজিং।

যদিও চীনের এই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের আলো কেড়ে নিয়েছে দেশটির সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা। তারা টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনের বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিলের বিরোধীতা ও হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর তিয়ানআনমেন স্কয়ারে দাঁড়িয়ে কমিউনিস্ট শাসিত চীনের ঘোষণা দেন কমিউনিস্ট নেতা মাও সেতুং। মঙ্গলবার মাও সেতুংয়ের চীনা স্বপ্নের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেন শি জিন পিং। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে মাও সেতুং স্যুট পরে দলের নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে শি জিন পিং বলেন, ‘বিশ্বে এমন কোনো শক্তি নেই যে, মহান এই জাতির ভিতকে নাড়াতে পারে।’

মাও সেতুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দেখা হয় শি জিন পিংকে। তিনি বলেন, ‘চাইনিজ জনগণ ও জাতির এগিয়ে যাওয়া থামাতে পারে এমন কোনো শক্তিও নেই।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত একটি জাতির অর্থনৈতিক উত্থান ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার এই উদযাপনে সারথী দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। চীনের এই অগ্রগতি উদযাপনে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে দেশটির সেনাবাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য, উচ্চপ্রযুক্তির অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র ও যুদ্ধবিমানের বিশাল মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কমিউনিস্ট পার্টির ৭০ বছর পূর্তির দিনে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে ৭০টি গুলি ছুঁড়ে ও জাতীয় লাল পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শি জিন পিং।

প্যারিসভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই অনুষ্ঠানে চীন নতুন অস্ত্র যেমন- হাইপারসনিক ড্রোন, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন যুদ্ধবিমান ও শত শত সামরিক সরঞ্জামের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করতে যাচ্ছে।

২০১২ সালে নেতা হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে জিনপিংয়ের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতাদর্শকে দলীয় গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভূক্ত করার পক্ষে ভোট দেয়। এর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের কাতারে চলে আসেন শি জিনপিং।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here