বাংলা খবর ডেস্ক: ভূতবিদ্যা শেখাতে ছয় মাসের একটি কোর্স চালু করতে চলেছে ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)। এত দিন দেশটির নানা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’, ‘আদর্শ কনে হয়ে ওঠার পাঠ’-এর মতো রকমারি কোর্স চালুর কথা শোনা গেলেও এই প্রথম ভূতবিদ্যা পড়ানোর নজির স্থাপিত হচ্ছে।
তবে তন্ত্রমন্ত্র সাধনার সঙ্গে এই পাঠের কোনও যোগ নেই বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ‘সাইকোথেরাপির’ অংশ হিসেবে ডাক্তারি শিক্ষার্থীদের এই ভূতবিদ্যা পড়াতে চান তারা।
বিএইচইউয়ের আয়ুর্বেদ বিভাগে ওই কোর্সটি পড়ানো হবে। এমবিবিএস এবং বিএমএএস শিক্ষার্থীরা এই কোর্স করতে পারবেন। আলাদা করে আয়ুর্বেদ বিভাগ থেকেও কোর্সটি করা যাবে। জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে সেই ক্লাস।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয়ুর্বেদ বিভাগের ডিন যামিনীভূষণ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ভূতবিদ্যা অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদের একটি শাখা। তিনি বলেন, ‘যেসব মানসিক রোগের কারণ জানা যায় না, রোগীর নানা আধাভৌতিক উপসর্গ দেখা যায়, সেসব ক্ষেত্রে ভূতবিদ্যা আয়ুর্বেদিক উপায়ে সমাধানের পথ দেখাবে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স’-এর ২০১৬ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ১৪ শতাংশ ভারতীয় মানসিকভাবে অসুস্থ। অনেকেরই ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। কুসংস্কারের কারণেও নিপীড়িত হন রোগীরা। তাই এ ধরনের পাঠ চালু হলে দেশ আরও পিছিয়ে যাবে বলে মত অনেকের। কারও বক্তব্য, ভূতবিদ্যা নামেই যত জটিলতা। এটি আসলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসারই অঙ্গ।